হোস্টিং কেনার আগে যে বিষয় সমূহ জানা প্রয়োজন

হোস্টিং বা ওয়েব হোস্টিং কেনার আগে বিশেষ কয়েকটি বিষয়ের দিকে লক্ষ্য রেখে তারপর সুনির্দিষ্ট কোন কোম্পানি থেকে, সুনির্দিষ্ট কোন প্লান বা প্যাকেজ ক্রয় করলে আপনার অর্থের বাজেটের মধ্যে সবচাইতে ভালো মানের সেবা পেতে পারেন। আমরা অনেকেই আছি যারা এ সকল বিষয়ে না জেনেই যেকোনো একটি কোম্পানি থেকে কোন একটি হোস্টিং প্লান ক্রয় করার পর বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকি।

তাই আজকের লেখায় আমি এসকল সমস্যার থেকে রক্ষা পেতে আপনাদের সাথে একটু বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করতে যাচ্ছি খুব গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিষয়, যে বিষয়গুলি ভালোভাবে লক্ষ্য করে কোন হস্টিং প্লান ক্রয় করলে আপনি ওয়েব হোস্টিং কেনার সমস্যা সংক্রান্ত এসকল বিষয় থেকে খুব সহজেই এড়িয়ে যেতে পারবেন। সুতরাং তাহলে আর দেরি না করে চলুন আজকে আমরা আমাদের আলোচনার মূল বিষয়ের দিকে চলে যাই।

সুচিপত্র

ওয়েব হোস্টিং কেনার আগে যে সকল বিষয়ে লক্ষ্য রাখবেন

বাজেট নির্ধারণ

আপনি সর্বপ্রথম কোন ওয়েবসাইটের হোস্টিং কেনার জন্য বাজেট নির্ধারণ করবেন। এখন বাজেট নির্ধারণ করতে গেলে অবশ্যই হোস্টিং এর প্রয়োজন বিবেচনা করতে হবে। কেননা প্রয়োজন বিবেচনা না করে আপনি যদি আপনি নির্দিষ্ট একটি বাজেট নির্ধারণ করেন, সেক্ষেত্রে সে বাজেট হোস্টিং কেনার জন্য কম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে অথবা বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে আপনার অর্থের ঘাটতি বা বাড়তি দুই ধরনের অবস্থায় পড়ার সম্ভাবনা বেশি। তাই সঠিক বাজেট নির্ধারণের বিষয়টি আপনাকে মাথায় রাখতে হবে। আর বাজেট নির্ধারণের ক্ষেত্রে যে সকরল বিষয় লক্ষ রাখা দরকার সে গুলো নিচের পয়েন্ট গুলো ভাল ভাবে পড়ার পর আপনি একটি সঠিক ধারণা পেয়ে জাবেন আশা করি।

হোস্টিং স্পেস বা স্টোরেজ

ওয়েবসাইটের জন্য কতটুকু হোস্টিং স্পেস, ওয়েব স্পেস বা স্টোরেজ দরকার সে বিষয়ে একটি আনুমানিক ধারণা আপনাকে আগেই ঠিক করতে হবে। এতে আপনার হোস্টিং এর জন্য সম্ভাব্য বাজেট করতে সহজ হবে। এখন আসলে হোস্টিং স্পেস, ওয়েবে স্পেস বা স্টোরেজ বলতে কি বোঝায় সে বিষয়ে আপনাকে একটি ছোট আকারের ধারণা দেয়া যাক।

ধরুন আপনি আপনার মোবাইল ফোনে একটি ভিডিও ফাইল রাখলেন পরবর্তীতে সেটি প্লে করে দেখার জন্য। এখন ভিডিওটি আপনার ফোনের মেমোরিতে রাখার জন্য নির্দিষ্ট একটি জায়গার দরকার হয়েছে, আর এই নির্দিষ্ট পরিমান জায়গা টি হল স্টোরেজ।

এখন ধরুন আপনি আপনার ফোনের মেমোরিতে যে ভিডিওটি রেখেছেন তার সাইজ ১০০ এমবি আর আপনার ফোনের সর্বমোট মেমোরি হচ্ছে ১ জিবি (গিগাবাইট), তাহলে আপনি আপনার ফোনের ১ জিবি মেমোরিতে আনুমানিক ১০ টি ঔ একই সাইজের ভিডিও ফাইল রাখতে পারবেন।

ঠিক অনুরূপভাবে আপনার ওয়েবসাইটে কিছু সোর্স কোড, ছবি, অডিও, ভিডিও ইত্যাদি ফাইলফাইল আপনি রাখবেন যেন ব্রাউজারের মাধ্যমে অ্যাক্সেস করে সেই ফাইলগুলো আপনি এবং আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটরেরা দেখতে পারে। এখন আপনাকে ঠিক করতে হবে আপনি কি পরিমাণ ফাইল আপনার ওয়েবসাইটের জন্য হোষ্ট করে রাখতে চাচ্ছেন। যদি ফাইলের পরিমান বেশি হয় তাহলে বেশি স্টোরিজ বা হোস্টিং স্পেস দরকার হবে, আর যদি কম হয় তাহলে কম হোস্টিং স্পেস দরকার হবে।

হোস্টিং ব্যান্ডউইথ

ওয়েব হোস্টিং ব্যান্ডউইথ হচ্ছে আপনার ওয়েবসাইটের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ ডাটা আদান-প্রদান করার লিমিট, যা সাধারন্ত প্রতি মাস হিসেবে দেওয়া হয়ে থাকে। এই ব্যান্ডউইথ লিমিট হতে পারে মাসে সবোচ্চ ১০জিবি (গিগাবিট), ২০জিবি, ৩০ জিবি, অথবা এর কম বা বেশি ( হোস্টিং কোম্পানির অফার-কৃত বিভিন্ন প্যাকেজ অনুযায়ী )

এখন উদাহরণ দিয়ে আপনাকে এ বিষয়ে আরেকটু ভাল ধারণা দেয়া যাক। ধরুন আপনি যে হোস্টিং প্যাকেজ কিনেছেন সেখানে ১০ জিবি ব্যান্ডউইথ লিমিট দেয়া হয়েছে, এখন আপনি ১০ মেগাবাইট সাইজের ১ টি ওডিও, ভিডিও, বা যে কোন ফাইল আপনার হোস্টিং সার্ভারে রাখলেন ওয়েবসাইটে প্রদর্শন করার জন্য। এখন যদি কোন ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইট থেকে সে ফাইল টি ডাউনলোড করে তাহলে আপনার ব্যান্ডউইথ খরচ হবে ১০ এমবি (মেগাবিট)। এখন যদি ১০০ জন ভিজিটর এক বার করে ডাউনলোড করে, তাহলে খরচ হবে ১০ এমবি ফাইল × ১০০ বার ডাউনলোড = ১০০০ এমবি ব্যান্ডউইথ খরচ। আর এভাবে প্রতিদিন ১০০ জন করে ফাইল টি ডাউনলোড করতে থাকলে ১০ দিনেই আপনার সর্বোচ্চ ব্যান্ডউইথ লিমিট যেটা ছিল এক মাসের জন্য সবোচ্চ ১০ জিবি তা সম্পূর্ণ শেষ হয়ে যাবে।

এখন সে মাসের বাকি ২০ দিনের জন্য আপনাকে হয় আপনার প্যাকেজ আপগ্রেড করে ব্যান্ডউইথ বাড়িয়ে নিতে হবে অন্যথায় আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটররা ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারবে না। আর ভিজিট করতে পারলেও সেখানে তারা ওয়েবসাইটের ব্যান্ডওয়াডথ শেষ হয়ে গেছে এরকম মেসেজ ছাড়া আর কিছু দেখতে পারবে না। সুতরাং আপনি যে হোস্টিং প্যাকেজ ক্রয় করবেন তাতে কি পরিমাণ ব্যান্ডউইথ রয়েছে, সেটা দিয়ে আপনার প্রতি মাস কাভার হবে কিনা সেটা আগেই বুঝে নিতে হবে।

আপনার সাইটের যদি সেরকম ভারি কোন ফাইল হোস্ট করা না থাকলে সে ক্ষেত্রে ১০ জিবি ব্যান্ডউইথ আপনার জন্য যথেষ্ট হতে পারে। তারপরেও যদি আরেকটু ভালোভাবে বুঝতে চান তাহলে এ উদাহরণ থেকে আরেকটু পরিষ্কার ধারণা হবে আশা করি।

ধরেন আপনার যে ওয়েবসাইট আছে সেখানে যে আর্টিকেল রয়েছে তার প্রতিটি আর্টিকেলে ১ এমবি সাইজের ১ টি করে ছবি যুক্ত করা আছে। তাহলে আপনার যদি প্রতিদিন ১০০ জন ভিজিটর সাইট ভিজিট করে থাকে এবং ভিজিটরেরা যদি গড়ে ২ টি করে পেজ ভিউ করে তাহলে প্রতি ভিজিটর ২ পেজ ভিউ × ১০০ ভিজিটর × ১ এমবি ছবি = ২০০ এমবি ব্যান্ডউইথ খরচ হবে।

এটা হলো একটা আনুমাকিন হিসাব করার উপায়। আনুমাকিন কারন, আপনার প্রতিটি পেজের ভিউ হওয়ার সাথে সাথে সেখানেও অল্প কিছু ব্যান্ডউইথ খরচ হবে। প্রতি পেজের সাইজ হতে পারে আনুমাকিন ১০০ থেকে ৩০০ কেবি (কিলোবাইট)। তবে এসাইজ সাইট ডিজাইনের উপর ভিত্তি করবে কম বা বেশি হতে পারে। তবে একটি ওয়েব পেজের সাইজ ৩০০ কেবি এর বেশি না হওয়া টাই ভাল।

হোস্টিং টাইপ

আপনার প্রয়োজন অনুসারে কোন হোস্টিং বেস্ট হবে সেটা বোঝার জন্য বিভিন্ন ধরনের হোস্টিং রয়েছে, যেমন; রিসেলার হোস্টিং, ক্লাউড হোস্টিং, ইত্যাদি। এছাড়াও সার্ভার টাইপের উপর ভিত্তি করে কিছু প্যাকেজ লক্ষ করা যায়, এগুলো হচ্ছে; ভিপিএস সার্ভার, ডেডিকেটেড সার্ভার, ইত্যাদি। হোস্টিং কেনার আগে আপনার এসকল হোস্টিং সম্পর্কে ভালো ধারণা নিতে হবে। তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার জন্য কোন হোস্টিং প্যাকেজটি উপযোগী হবে।

হোস্টিং ও হোস্টিং টাইপ সম্পের্কে বিস্তারিত ধারণা পেতে এখানে ক্লিক করুন

হোস্টিং সাপোর্ট

হোস্টিং কেনার আগে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সাপোর্ট। আপনি যে কোম্পানি থেকে হোস্টিং ক্রয় করবেন অবশ্যই সে কোম্পানির সাপোর্ট সম্পর্কে আগেই একটি ভালো ধারণা নিয়ে নেবেন। সাপোর্ট বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। কিছু কোম্পানি রয়েছে যারা টিকেটিং সাপোর্ট, ম্যাসেজিং সাপোর্ট, সরাসরি কল সাপোর্ট, এবং ডকুমেন্টেশনের মাধ্যমে সাপোর্ট প্রদান করে থাকে। এছাড়াও বিভিন্ন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং ওয়েবসাইটের গ্রুপ ও পেজের মাধ্যমে এবং অ্যাপ ব্যবহার করে সাপোর্ট সংক্রান্ত সেবা প্রদান করে থাকে।

এছাড়াও সাপোর্টের ধরন অনুযায়ী সময় সিডিউল জেনে রাখা ভালো। কিছু কোম্পানি রয়েছে যারা ২৪ ঘন্টা-ই কল সাপোর্ট দিয়ে থাকে। আবার কিছু কোম্পানি রয়েছে যারা শুধুমাত্র তাদের অফিস আওয়ারে কল সাপোর্ট দিয়ে থাকে। আবার কোন কোন কোম্পানি রয়েছে যারা সাপ্তাহিক ছুটির দিনে কোন কল সাপোর্ট দেয় না। তবে বেশিরভাগ হোস্টিং কোম্পানি সপ্তাহের সাত দিনই সাপোর্ট সেবা প্রদান করে থাকে। তাই ২৪/৭ সাপোর্ট প্রদান করে এরূপ কোম্পানিকে প্রাধান্য দেয়া যেতে পারে। বিশেষ করে যারা ২৪/৭ কল সাপোর্ট প্রদান করে।

তাই আপনি যে কোম্পানি থেকে হোস্টিং কিনতে চাচ্ছেন সেই কোম্পানির হোস্টিং আগে থেকেই ব্যবহার করে এরকম বিশ্বস্ত কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ঔ কোম্পানির সাপোর্ট সম্পর্কে একটি সুনির্দিষ্ট ধারণা নেয়ার চেষ্টা করবেন। ইউটিউব এবং বিভিন্ন ওয়েবসাইটে তাদের রিভিউ থেকেও ঔ সকল কোম্পানির সাপোর্ট সম্পর্কে ধারণা পাওয়া সম্ভব।

প্র. টিপ: আপনার মাতৃভাষায় সাপোর্ট দেয় এরকম কোম্পানিকে প্রায়োরিটি দেয়ার বিষয়টি মাথায় রাখবেন, কেননা এতে করে খুব সহজে এবং তাড়াতাড়ি ভালো মানের সাপোর্ট পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। বিশেষ করে ইমারজেন্সি কল সাপোর্ট এর ক্ষেত্রে।

প্লান বা প্যাকেজ

অ্যাভেলেবল প্লান

আপনি যে কোম্পানি থেকে হোস্টিং ক্রয় করবেন সেই কোম্পানিতে কতগুলো প্লান অফার করা হচ্ছে সে বিষয়টি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কেননা অনেক কোম্পানির শুরুর প্ল্যান টি ই দেখা যায় এমন ভাবে সাজানো হয়েছে যা আপনার বাজেটের তুলনায় অনেক বেশি অথবা ঔ প্লানের সবটুকু রিসোর্স আপনি ব্যবহার করতে পারছেন না। অথবা আপনি একটি বড় প্যাকেজ আপনার ওয়েবসাইটের জন্য নিতে চাচ্ছেন কিন্তু সেখানে অফার করা প্যাকেজগুলো আপনার টার্গেট এর চাইতে লো কনফিগারেশন এর। মোটকথা আপনার সুবিধামতো প্যাকেজ বা প্লান ওই কোম্পানিতে অফার করা আছে কিনা সেই বিষয়টিও আপনাকে মাথায় রাখতে হবে।

হোস্টিং এনভায়রনমেন্ট

হোস্টিং এনভায়রনমেন্ট বলতে হোস্টিং এর জন্য সার্ভার সাইডে ব্যবহারকৃত অপারেটিং সিস্টেম বোঝানো হয়ে থাকে। অনেক সময় আপনি যে ওয়েবসাইট হোস্ট করবেন, অথবা যে অ্যাপ্লিকেশন হোস্ট করবেন, তার জন্য নির্দিষ্ট অপারেটিং সিস্টেম দরকার হবে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আপনাকে লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহৃত হোস্টিং ক্রয় করতে হবে। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে উইন্ডোজ সার্ভার ব্যবহৃত অপারেটিং সিস্টেম ক্রয় করতে হবে। এখন আপনি যদি উইন্ডোজ সার্ভার অপারেটিং সিস্টেমের ব্যবহার করতে হবে এমন কাজের জন্য লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম ক্রয় করেন তাহলে সেটা আপনার কোন কাজে আসবে না।

উদাহরণস্বরূপ ASP.NET দিয়ে কোন ওয়েব সাইট তৈরি করলে আপনাকে উইন্ডোজ সার্ভার এর হোস্টিং ক্রয় করতে হবে। আবার অন্যদিকে ওয়ার্ডপ্রেস সিএমএস (WordPress.org CMS) দিয়ে কোন ওয়েব সাইট তৈরি করলে আপনাকে লিনাক্স সার্ভার এর হোস্টিং ক্রয় করতে হবে। তাই ওয়েবসাইট বা অ্যাপ্লিকেশন কোন প্ল্যাটফর্মের হোস্টিং এর সাথে কাজ করবে এর বিষয়ে আপনার সঠিক ধারণা না থাকলে আগে থেকেই ধারণা নিয়ে নিতে হবে। তবে ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রেই লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করেই ওয়েবসাইট বা অ্যাপ্লিকেশন হোস্ট করা হয়ে থাকে।

ডাটাবেজ সফটওয়্যার

ওয়েবসাইট হোস্ট করার জন্য ডাটাবেজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, কারন বর্তমান সময়ে যে সকল ডায়নামিক ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়ে থাকে তার প্রায়ই সবগুলোই কোন না কোন ডাটাবেজ এর সাথে সংযুক্ত থাকে। আর বিভিন্ন ওয়েবসাইটের ধরন এবং প্রয়োজন অনুসারে বিভিন্ন ডাটাবেজের প্রয়োজন হতে পারে বর্তমানে অনেক জনপ্রিয় ডাটাবেস গুলোর মধ্যে রয়েছে phpMyAdmin, Mariadb, POSTGRESQL, Oracle ইত্যাদি। তাই আপনার প্রয়োজন অনুসারে আপনি যে হোস্টিং প্যাকেজ কিনবেন সেখানে আপনার কাঙ্খিত ডাটাবেস সফটওয়ারটি এভেলেবেল আছে কিনা সেটা অবশ্যই দেখে নিবেন।

অ্যাভেলেবল সফটওয়্যার

আপনি যদি সিপ্যানেল কন্ট্রোল প্যানেল যুক্ত কোন হোস্টিং প্যাকেজ ক্রয় করেন, সেই কন্ট্রোল প্যানেলে বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার টুলস যুক্ত থাকবে। কিছু কিছু টুলস রয়েছে যেগুলো অনেক প্রয়োজনীয়, তাই ইন্টারনেটে একটু ঘাটাঘাটি করে আপনি যেখান থেকে হোস্টিং ক্রয় করবেন সেখানে ঔ গুরুত্বপূর্ণ টুলস গুলো আছে কিনা তা যাচাই করে নিবেন। বিশেষ করে পিএইচপি ভার্শন সিলেক্টর (Select PHP Version), মড সিকিউরিটি (ModSecurity), বিট নিনজা (BitNinja) সিকিউরিটি টুল ইত্যাদি উল্লেখ করা যেতে পারে।

পিএইচপি ভার্শন সিলেক্টর (PHP Version selector) হল, একাধিক PHP ভার্শন সিলেক্ট করার সুবিধা থাকলে আপনি নতুন বা পুরোনো যে কোন ভার্সন আপনার ইচ্ছামত সিলেক্ট করে নিতে পারবেন। এতে করে আপনার ব্যবহৃত সিএমএস (CMS) প্লাগইন (Plugins) অথবা থিম বা টেমপ্লেট (Theme/Template) এর সাথে কম্প্যাটিবিলিটি এ কোন সমস্যা হলে অন্য ভার্সনে সহজেই করতে পারবেন। অনেক সময় দেখা যায় আপনার হোস্টিং কোম্পানি থেকে যে PHP ভার্সন ডিফল্ট ভাবে সিলেক্ট করে দেয়া আছে, সেই ভার্সনের সাথে আপনার ব্যবহৃত সফটওয়্যার গুলোর সাথে কোন একটা সমস্যা হচ্ছে তখন আপনি যেন ভার্সন টা পরিবর্তন করতে পারেন। আবার অনেক ক্ষেত্রে বাই ডিফল্ট ভার্সনে কোন ত্রুটি বা সিকিউরিটি ইস্যু দেখা দিতে পারে এবং এর ফলে আপনার ওয়েবসাইট নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকিতে পড়তে পারে। এক্ষেত্রে আপনি চাইলে আপডেটেড কোন ভার্সন থাকলে সে ভার্সনে সুইচ করে যেতে পারবেন। মূলত এগুলোই হচ্ছে HP Version selector এর সুবিধা।

স্ক্রিপ্ট ইনস্টলার বা One-Click Deploy

বর্তমানে হোস্টিং এর জন্য একটি জনপ্রিয় ফিচার হচ্ছে স্ক্রিপ্ট ইনস্টলার। স্ক্রিপ্ট ইনস্টলার হল এমন ফিচার যার মাধ্যমে একজন প্রাথমিক লেভেলের ব্যবহারকারী মাত্র কয়েক ক্লিক করেই একটি ডায়নামিক ওয়েবসাইট রেডি করে ফেলতে পারে। ডাটাবেজ তৈরি করার মত অনেক কঠিন কাজ না করেই একটি ডায়নামিক ওয়েবসাইট তৈরি করা যায় বলে এর ব্যবহার এবং চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলছে। এর মাধ্যমে জনপ্রিয় প্রায় পঞ্চাশটিরও বেশি স্ক্রিপ্ট ইনস্টল করা যায়। এদের মধ্যে মধ্যে জনপ্রিয় হচ্ছে ডব্লিউএইচএমসিএস (WHMCS) সফটওয়্যার, ওয়ার্ডপ্রেস, জুমল, পিএইচপিবিবি, ইত্যাদি সিএমএস। তাই আপনি যেখান থেকে হোস্টিং ক্রয় করবেন সেখানে one-click স্ক্রিপ্ট ইনস্টলার, সিএমএস ইনস্টলার অথবা Softaculous Apps Installer, ফিচারটি রয়েছে কিনা তা দেখে নেয়ার চেষ্টা করবেন।

অ্যাড-অন ডোমেইন

অ্যাড-অন (Add-on) ডোমেইন হলো একটি হোস্টিং প্যাকেজে কতগুলো ওয়েবসাইট হোস্ট করা যাবে তা। বর্তমানে প্রায় সব ধরনের হোস্টিং কোম্পানি গুলো তাদের কিছু প্যাকেজের সাথে অ্যাড-অন ডোমেইন অপশনটি দিয়ে থাকে। যারা একটি হোস্টিং প্যাকেজ কিনে সেই প্যাকেজের মধ্যে দুই বা এর অধিক ওয়েবসাইট হোস্টিং করার সুবিধা পেতে চান তাদেরকে অবশ্যই অ্যাড-অন ডোমেইন অপশন রয়েছে এমন হোস্টিং প্যাকেজ ক্রয় করতে হবে। অ্যাড-অন ডোমেইন ব্যবহার করে সহজেই একই সাথে একাধিক সাইট ম্যানেজ করার সুবিধা পাওয়া যায়, এছাড়াও অর্থের সাশ্রয় হয়ে থাকে। তবে অ্যাড-অন ডোমেইন ব্যবহার করার কিছু সুবিধা এবং অসুবিধা রয়েছে যেগুলো জেনে অ্যাড-অন ডোমেইন যুক্ত হোস্টিং প্যাকেজ ক্রয় করার সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত।

হোস্টিং কন্ট্রোল প্যানেল

আপনি যে কোম্পানি থেকে হোস্টিং কিনবেন অবশ্যই তাদের হোস্টিং কন্ট্রোল প্যানেল সম্পর্কে ধারণা নিয়ে নিবেন। বর্তমানে ইন্টারনেটে সবচাইতে জনপ্রিয় হোস্টিং কন্ট্রোল প্যানেল সফটওয়্যার এর নাম হচ্ছে সিপানেল (cPanel), এছাড়াও বেশকিছু সফটওয়্যার রয়েছে যেমন; প্লাস্ক, এইচপ্যানেল (Plesk, hPanel) ইত্যাদি। তবে সিপ্যানেলের ইউজার ইন্টারফেস অনেক সহজ।

আপনি হোস্টিং এর বিষয়ে নতুন হয়ে থাকেন তবে আমি বলব আপনি সিপ্যানেল হোস্টিং কিনবেন। কেননা ইন্টারনেটে প্রচুর পরিমাণ টিউটোরিয়াল রয়েছে সিপ্যানেলের উপর যেগুলো দেখে আপনি সহজেই সিপানেল সম্পর্কে একটি ভাল ধারণা পেয়ে যাবেন। এবং খুব সহজে একটি ওয়েবসাইট হোস্ট করে ফেলতে পারবেন। তবে উইন্ডোজ সার্ভার হোস্টিং ব্যবহার করলে আপনি সিপ্যানেল কন্ট্রোল প্যানেল পাবেন না, কেননা সিপানেল সফটওয়্যার উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম সাপোর্ট করে না।

একাউন্ট ইউজার ইন্টারফেস

অনেক কোম্পানি রয়েছে যাদের হোস্টিং ইউজার একাউন্ট ম্যানেজ করার জন্য সহজ সরল এবং ক্লিন ইউজার ইন্টারফেস থাকে আবার কিছু কিছু কোম্পানি রয়েছে যাদের হোস্টিং ইউজার অ্যাকাউন্ট ম্যানেজার জন্য ইউজার ইন্টারফেস গুলো খুব বেশি ব্যবহারকারী বান্ধব হয় না। ভালো ব্যবহারকারী বান্ধব ইউজার ইন্টারফেস না থাকলে নতুন ব্যবহারকারীদের জন্য সেটা সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতে অনেক পারে। এজন্য হোস্টিং একাউন্ট ম্যানেজ করার জন্য ভালো ইউজার ইন্টারফেস রয়েছে এমন কোম্পানি থেকে হোস্টিং প্যাকেজ ক্রয় করা উচিত।

আপটাইম গ্যারান্টি

আপটাইম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অনেকেই বিষয়টি আমরা বুঝিনা আফরিন হল আপনার হোস্টিং সার্ভার টি আনুমানিক কত শতাংশ সময় চালু অবস্থায় থাকতে পারে আর কত শতাংশ সময় বন্ধ অবস্থায় থাকতে পারে। সুতরাং আপটাইম যত বেশি ভাল হবে আপনার ওয়েবসাইট ততটাই ভিজিটর দের কাছে এভেলেবেল থাকার সম্ভাবনা বেশি হবে। অধিক ডাউন টাইম থাকে এ ধরনের হোস্টিংয়ে আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইট হোস্ট করেন সেক্ষেত্রে ভিজিটর এবং সার্চ ইঞ্জিনের উভয়ের কাছেই আপনার ওয়েবসাইটের গ্রহন যোগ্যতা ধীরে ধীরে কমতে থাকবে।

তাই যে সকল হোস্টিং কোম্পানিগুলো তাদের সার্ভারের অধিক আপটাইম গ্যারান্টি দিয়ে থাকে তাদের কাছ থেকেই হোস্টিং সেবা গ্রহণ করা ভালো। অধিক আপটাইম বলতে ৯৯.৮% বা ৯৯.৯% ধরে নেয়া যেতে পারে, এর থেকে কম হলে ঐসকল প্যাকেজ বা কোম্পানি পরিহার করাই শ্রেয়। অনেক ভালো ও স্বনামধন্য কোম্পানি রয়েছে যারা তাদের প্রাথমিক লেভেলের কিছু হস্টিং প্লান গুরোতে আপটাইম গ্যারান্টি দেয় না। এজন্য আপটাইম বিহীন একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ের বা লো-প্রাইজের প্লান না কেনাই ভালো, তবে পরীক্ষামূলক কাজের জন্য এসমস্ত হোস্টিং প্ল্যান গুলি কেনা যেতে পারে। আবার অনেক কোম্পানি রয়েছে যারা প্রাথমিক পর্যায়ের প্লানেও অনেক ভালো আপটাইম গ্যারান্টি দিয়ে থাকে।

ফেইল ওভার

অনেক ভালো কোম্পানি রয়েছে যারা তাদের হোস্টিং সার্ভার, ডিএনএস সার্ভার, ইত্যাদির জন্য ফেইলওভার বা রিডানডেন্সি সিস্টেম ব্যবহার করে। যার ফলে কখনো মেইন সার্ভার টি বিকল হয়ে পড়লে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেকেন্ডারি সার্ভার কাজ করা শুরু করে দেয়, এতে ডাউন টাইম কম থাকে। কার্যকর আপটাইম গ্যারান্টি পেতে ফেইলওভার সুবিধা রয়েছে এমন সার্ভার হোস্টিং কেনা বুদ্ধিমানের কাজ।

আর যদি সার্ভার ফেইল ওভার নাও থাকে তাহলে কমপক্ষে যেন HDD অথবা SSD ষ্টোরেজ রেইড (রেইড) এনাবল সুবিধা থাকে সে বিষয়টি লক্ষ রাখতে হবে।

মূলত রেইড (Raid) হল ষ্টোরেজ ফেইল ওভার যেখানে একটি ষ্টোরেজ এইচডিডি বা এসএসডি ড্রাইভ সমস্যা হলে আর একটি ড্রাইভ থেকে অটোমেটিক্যালি ডাটা পাওয়া ও সরবরাহ করার সুবিধা থাকে। এবং পরবর্তিপে বিকল হওয়া ড্রাইভ প্রয়োজন অনুসারে রিপ্লেস করা যেতে পারে। এটি প্রায়শই ঘটা অনাকাঙ্ক্ষিত ডাটা লস বা সার্ভার সমস্যা গুলোর বড় একটি থেকে রক্ষা পাওয়ার একটি দারুন ফিচার।

স্টোরেজ টাইপ

আপনি যে হোস্টিং প্যাকেজ প্লান পছন্দ করবেন সেটা অবশ্যই এসএসডি (SSD) স্টোরেজ উল্লেক্ষ রয়েছে কিনা সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখবেন। কিছু কোম্পানি রয়েছে যারা অনেক কম প্রাইজে এইচডিডি (HDD) স্টোরেজ সেবা দিয়ে থাকে, যেটা কিনা এসএসডি স্টোরেজের চাইতে অনেক কম গতি সম্পন্ন হয়ে থাকে। আমরা সবাই কমবেশি জানি এসএসডির তুলনায় এইচডিডি এর ডাটা রিড এবং রাইট করার গতি অনেক কম। তাই ওয়েবসাইটের লোড টাইম ভালো রাখার জন্য এসএসডির হোস্টিংয়ের গুরুত্ব অপরিসীম।

এছাড়াও যদি সম্ভব হয় তাহলে দেখে নিবেন যে, আপনি যে হোস্টিং প্লান কিনতে আগ্রহি তাতে এসএসডি এর মধ্যে সবচাইতে নতুন প্রযুক্তির এনভিএমই এম২ (NVMe M.2) টাইপের এসএডি রয়েছে কিনা, যদি থাকে তবে এনভিএমই এম২ টাকেই প্রাধান্য দিবেন। কারন এনভিএমই এম২ পূরনো এসএসডি (SSD) বা এম২ (M.2) এর তুলনায় প্রায় ১০ গুন বেশি গতি সম্পূর্ন।

আপগ্রেড বা ডাউনগ্রেড সুবিধা

আপগ্রেড বা ডাউনগ্রেড সুবিধা আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনি যে কাজের জন্য হোস্টিং প্লান টি বাছাই করতে যাচ্ছেন তা আপনার প্রয়োজন অনুসারে পরবর্তীতে আপগ্রেড করার দরকার হতে পারে, অথবা আপনার চাহিদা অনুযায়ী ডাউনগ্রেড করার প্রয়োজন হতে পারে।

ধরুন আপনার ওয়েবসাইট শুরু করার প্রথম ৮ থেকে ১০ মাস পর আপনার ওয়েবসাইট ট্রাফিক হঠাৎ বেড়ে গেল, এখন আপনি চাচ্ছেন আরেকটি বড় প্যাকেজে আপনার বর্তমান প্যাকেজটি আপগ্রেড করতে অথবা ধরুন আপনি যে কাজের জন্য বড় একটি প্যাকেজ ক্রয় করেছিলেন সেই কাজটি এখন আর করা হচ্ছে না তখন আপনি কি শুধু শুধু বড় প্ল্যান নিয়ে বাড়তি টাকা খরচ করবেন

সে ক্ষেত্রে আপনি যেখান থেকে হোস্টিং কিনছেন সেখানে আপগ্রেড বা ডাউনগ্রেড করার সুবিধা রয়েছে কিনা সেটা দেখে নিতে হবে।

সার্ভার সাইড কেসিং সুবিধা

বর্তমানে হোস্টিং কোম্পানি গুলো তাদের হোস্টিং সার্ভারে পুরনো ফ্রি অ্যাপাচি (Apache), ঞ্জিনেক্স (Nginx) ইত্যাদি ওয়েব সার্ভার গুলোর পরিবর্তে নতুন প্রযুক্তির লাইট স্পিড (LiteSpeed/LSWS) এর মত প্রিমিয়াম ওয়েব সার্ভার সফটওয়্যার ব্যবহার করছে। বিভিন্ন দিক বিবেচনায় অ্যাপাচি, ঞ্জিনেক্স, ইত্যাদির তুলনায় লাইট স্পিড সার্ভারের পারফরম্যান্স অনেক বেশী হয়ে থাকে। লাইট স্পিড এর সার্ভার সাইড কেসিং সুবিধা অনেক পাওয়ারফুল।

সার্ভার সাইড ক্যাসিং সুবিধা হোস্টিং রিসোর্স ব্যাবহার ও সাইটের লোডিং টাইম কমাতে সাহায্য করে, যার ফলে কোন সাইটের ভিজিটররা আরো দ্রুত ও উন্নত সেবা পেয়ে থাকে। বর্তমানে জনপ্রিয় কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যা ওয়ার্ডপ্রেসের জন্য লাইট স্পিড এর বিনামূল্যের প্লাগইনস্ রয়েছে, যা ব্যাবহার করে খুব সহজেই ওয়ার্ডপ্রেস সাইটের ক্যাসিং সুবিধা উপভোগ করা যেয়ে থাকে। নিন্তু লাইট স্পিড প্রিমিয়াম ওয়েব সার্ভার সফটওয়্যার বলে অনেক কোম্পানি গুলো এটি ব্যাবহার করে থাকে না। তাই হোস্টিং কোম্পানি গুলোর প্যাকেজে এই পাওয়ারফুল প্রিমিয়াম লাইট স্পিড ক্যাসিং সুবিধা রয়েছে কিনা তা দেখে নেয়া গুরুত্বপূর্ণ।

সিডিএন সুবিধা

আপনি যে কোম্পানি থেকে হোস্টিং কিনবেন সেই কোম্পানি ফ্রিতে সিডিএন (CDN) সেবা প্রভাইড করছে কি না সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখবেন। অনেক সময় কোম্পানিগুলো তাদের হোস্টিং প্যাকেজের সাথে ফ্রি ফ্রি সিডিএন সার্ভিস দিয়ে থাকে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সিডিএন সেবা বিনামূল্যে যুক্ত থাকে এরকম প্ল্যান গুলো একটু বেশি মূল্যের হয়ে থাকে। তবে বেশি মূল্য হলেই যে তার সাথে ফ্রি সিডিএন সুবিধা থাকবে এরকমটা নয়। তাই হোস্টিং কেনার আগে ফ্রি সিডিএন সার্ভিস রয়েছে কিনা এই বিষয়টি লক্ষণীয়।

বিডিআইএক্স সেবা

বিডিআইএক্স (BDIX) বা বাংলাদেশ ইন্টারনেট এক্সচেঞ্জ (Bangladesh Internet Exchange) হল একটি নন প্রফিট উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান। যার ব্যবহার করে সময় এবং ব্যান্ডউইথ রিসোর্স রক্ষা করা সম্ভব। এর কাজ এর মেম্বারদের মধ্যে ইন্টারকানেকশন পিয়ারিং করা। আর এই বিডিআইএক্স এর মেম্বার ভুক্ত কোন হোস্টিং সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান থেকে বিডিআইএক্স সংযুক্ত হোস্টিং ক্রয় করে বাংলাদেশের মধ্যকার ভিজিটরদের জন্য দ্রুতগতির ওয়েবসাইট এক্সেস সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব।

আমরা সচরাচর বিভিন্ন ওয়েবসাইটে যে হস্টিং প্লান গুলো দেখে থাকি সেগুলো সার্ভার বা ডাটা সেন্টার আমাদের দেশ থেকে বিভিন্ন দূরবর্তী কোন দেশে অবস্থিত থাকে। যেমন; ইউএসএ, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর, ইত্যাদি। তাই এ সকল সার্ভারে হোস্ট করা কোন ওয়েবসাইটকে কোন ভিজিটর এর ব্রাউজার থেকে অ্যাক্সেস করতে রিকোয়েস্ট করা হলে সেই ওয়েবসাইটটি লোড হতে কিছুটা বেশি সময় লাগে। কিন্তু যদি বিডিআইএক্স কানেক্টেড কোন হোস্টিং সার্ভারে কোন ওয়েবসাইট হোস্ট করা থাকে, তাহলে সেটা ইউএসএ, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর, ইত্যাদি সার্ভারে হোস্ট করা কোন ওয়েবসাইটের তুলনায় দ্রুত গতিতে লোড হবে। আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর যদি বাংলাদেশ টার্গেট হয় তবে বিডিআইএক্স হোস্টিং সেবা প্রদান করে এমন কোন কোম্পানি থেকে বিডিআইএক্স হোস্টিং ক্রয় করার বিষয়টি মাথায় রাখবেন।

প্র. টিপ: আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর যদি শুধু মাত্র বাংলাদেশ টার্গেট হয় তবে এর সাথে কোন সিডিএন সেবা ব্যাবহার করার প্রয়োজন নেই। তবে অন্যান্ন দেশের ভিজিটরদের দিকে গুরুত্ব দিলে বিডিআইএক্স হোস্টিং এর সাথে সিডিএন সেবা ব্যাবহার করা যেতে পারে।

ডেটা সেন্টার

হোস্টিং কেনার আগে ডাটা সেন্টার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষনীয় বিষয়। ওয়েবসাইটের ভিজিটর যদি সুনির্দিষ্ট কোন লোকেশন থেকে হয়ে থাকে তাহলে ওই লোকেশন এর কাছাকাছি কোন ডাটা সেন্টারে আপনার ওয়েবসাইট বা ওয়েব এপ্লিকেশন হোস্ট করা থাকলে সেটা ব্যবহারকারীরা খুব দ্রুতই অ্যাক্সেস করতে পারবে। এজন্য আপনি যেখান থেকে হোস্টিং প্যাকেজ ক্রয় করবেন সেখানে আপনার কাঙ্খিত লোকেশন এর কাছাকাছি কোন ডেটা সেন্টার আছে কিনা এ বিষয়ে লক্ষ্য রাখবেন।

কিছু কিছু কোম্পানি রয়েছে যারা দু-একটি লোকেশনে ডাটাসেন্টার নিয়েই ব্যবসা শুরু করে দেয়। আবার কিছু কিছু কোম্পানি রয়েছে যাদের ১৫ থেকে ২০ টিরও বেশি লোকেশনে ডাটা সেন্টার থাকে। সাধারন্ত যে সকল কোম্পানির ডাটাসেন্টার বেশি থাকে সে সকল কোম্পানি থেকে সহজেই কাঙ্খিত লোকেশন সিলেক্ট করে নেয়া সম্ভব।

ব্যাকআপ সুবিধা

ওয়েব হোস্টিং এর ক্ষেত্রে ব্যাকআপ একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বর্তমানে সাধারন্ত হোস্টিং কোম্পানি গুলো দুই ধরনের ব্যাকআপ সেবা প্রদান করে থাকে। একটি হলো ম্যানুয়াল ব্যাকআপ অন্যটি অটোমেটিক ব্যাকআপ। অটোমেটিক ব্যাকআপ আর ম্যানুয়াল ব্যাকআপ এই দুটির মধ্যে কিছুটা পার্থক্য রয়েছে যে বিষয়ে সংক্ষিপ্তভাবে নিচে আলোচনা করা হলো।

অটোমেটিক ব্যাকআপ

কিছু কোম্পানি তাদের হোস্টিং প্যাকেজের সাথেই অটোমেটিক ব্যাকআপ সুবিধা দিয়ে থাকে। এই অটোমেটিক ব্যাকআপ থাকার কারনে আপনার হোস্টিং করা সকল ডাটা গুলো হোস্টিং সার্ভারে অটোমেটিক ভাবে সংরক্ষিত থাকে যা থেকে আপনি কোন সমস্যা হলে সহজেই আপনার ডাটা গুলো ফেরত পেয়ে যাবেন। তবে অটোমেটিক ব্যাকআপ সুবিধার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কিছু সময়ে বা দিনের জন্য ডাটা সার্ভারে সংরক্ষিত থাকে, যেমন; সর্বশেষ ৫ দিনের, ১০ দিনের, বা ১৫ দিনের ইত্যাদি। তাই বেশি পুরোনো ডাটা দরকার হলে তা নাও পাওয়া যেতে পারে।

সাধারন্ত এক্ষেত্রে ডাটা গুলো সরাসরি হোস্টিং সার্ভারেই স্টোর করা থাকে। সুতরাং এতে কিছুটা বেশি ঝুকি থাকে কারন, কোনো কারণে ঐ কোম্পানিতে আপনার ডাটার হোস্টকৃত সার্ভার যদি নষ্ট হয়ে যায় তাহলে এধরনের ব্যাকআপ আপনার কোন কাজেই আসবে না।

ম্যানুয়াল ব্যাকআপ

স্নাপশট বা ম্যানুয়াল ব্যাকআপ অপশন থাকলে আপনি আপনার ওয়েবসাইটের তথ্যগুলোর ব্যাকআপ নিজেই নিজের মতোকরে জেনারেট করে রাখতে পারবেন এবং তা পরবর্তীতে প্রয়োজন অনুসারে রিস্টোর করতে পারবেন। যেমন ম্যানুয়াল ব্যাকআপ সুবিধার মাধ্যমে আপনি নির্দিষ্ট কোন সময় উল্লেখ করে দিলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংরক্ষিত হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে ডাটা গুলো সরাসরি হোস্টিং সার্ভারের বা অন্য কোন ডাটা সার্ভারে স্টোর হতে পারে, আর ভিন্ন সার্ভারে ডাটা সংরক্ষিত থাকার কারনে এর নিরাপত্তা অটোমেটিক ব্যাকআপ এর তুলনায় একটু বেশি।

ম্যানুয়াল ব্যাকআপ সুবিধার ক্ষেত্রে সাধারন্ত আপনাকে একটি নির্দিষ্ট পরিমান স্টোরেজ দেয়া হবে, যেমন; ১০০ জিবি (GB), ৫০০ জিবি, বা ১০০০ জিবি, ইত্যাদি। সুতরাং এই নির্দিষ্ট পরিমান স্টোরেজ শেষ হলে আপনাকে কিছু ফাইল ডিলিট করতে হবে বা নতুন স্টোরেজ যোগ করার জন্য প্যাকেজ আপগ্রড করতে হবে।

সাধারন্ত ম্যানুয়াল ব্যাকআপ সুবিধা পেতে হোস্টিং কেনার সময় ও পরে আলাদা করে কেনার অপশন দেয়া থাকে এবং আলাদা ভাবে চার্জ বা মূল্য পরিশোধ করতে হয়। আবার কিছু কোম্পানির বিশেষ কিছু প্যাকেজের সাথে অনেক সময় ম্যানুয়াল ব্যাকআপ সুবিধা ফ্রি যুক্ত করা থাকে, তবে এসকল প্যাকেজে গুলোর মূল্য কিছুটা বেশি হয়ে থাকে।

নিরাপত্তা প্রযুক্তি

নিরাপত্তা প্রযুক্তি বা সিকিউরিটি প্রায় সব ধরনের সাইটের জন্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিষেশ করে ইকমারছ বা ব্যবসায়িক ওয়েবসাইট গুলোর জন্য আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সিকিউরিটি ফিচার গুলোর মধ্যে রয়েছে ModSecurity বা Modsec, ImunifyAV, ইত্যাদি। এদের মধ্যে ModSecurity হল ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন ফায়ারওয়াল, যা কিনা গুরতর নেটওয়ার্ক অ্যাটাক যেমন ডিডস (DDOS) এর মত অনাকাঙ্খিত বট ট্রাফিক অ্যাটাক প্রতিরোধ করে কোন ওয়েব সাইট বা ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন কে স্লো বা সম্পুর্ণ ডাউন হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করা। অন্য দিকে ImunifyAV হলো ম্যালওয়্যার স্ক্যানার যা ওয়েব সার্ভরের ফাইল গুলোকে স্ক্যান করে প্রায় যেকোন ধরনের ব্যাকডোর, ওয়েব-শেল, ভাইরাস, হ্যাকার টুল ইত্যাদি সহ সন্দেহ যুক ফাইল সনাক্ত করে।

সুতরাং আশাকরি এখন কিছুটা হলেও বুঝতে পারছেন এগুলোর গুরুত্ব কেমন হতে পারে। তাই আপনি যে প্রতিষ্ঠান থেকে হোস্টিং কেনার চিন্তা করছেন সেখানে এধরনের নিরাপত্তা ফিচার বা সুবিধা রয়েছে কিনা তা দেখে নিতে হবে।

এসএসএল (SSL) সার্টিফিকেট

ব্যবহারকারীর নিরাপত্তা এবং এসইও ব্যাংকের জন্য এসএসএল সার্টিফিকেট একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিছু কিছু হোস্টিং কোম্পানি রয়েছে যারা বিনামূল্যে লাইফটাইম শেয়ার্ড এসএসএল সার্টিফিকেট প্রদান করে থাকে, আবার কিছু কিছু হোস্টিং রয়েছে যেখানে প্রাথমিকভাবে বিনামূল্যে শেয়ার্ড এসএসএল সার্টিফিকেটের ব্যবস্থা থাকে না। সেক্ষেত্রে এসএসএল সার্টিফিকেট ব্যবহার করতে হলে আপনাকে বাৎসরিক চার্জ দিয়ে প্রিমিয়াম এসএসএল সার্টিফিকেট কিনে ব্যবহার করতে হবে। তাই এই বিষয়টির দিকেও লক্ষ্য রাখা জরুরি।

<অন্যান্য সেবা সার্ভিস

হোস্টিং সার্ভিস কেনার আগে হোস্টিং এর পাশাপাশি ওই প্রতিষ্ঠানটি অন্যান্য আরো কি ও কোন ধরনের সেবা বা সার্ভিস প্রদান করে থাকে সে বিষয়টি লক্ষ্য রাখা উচিত। উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে “ওয়েবডিজাইন সেবা, ব্যাকআপ এবং মাইগ্রেশন সংক্রান্ত সেব“ইত্যাদি উল্লেখ করা যেতে পারে। আপনি যে কোম্পানি থেকে ওয়েব হোস্টিং ক্রয় করবেন সেই কোম্পানির এরকম কিছু প্রিমিয়াম সেবা থাকতে পারে, এ সকল সেবা থেকে যে কোন সেবা আপনি পরবর্তীতে তাদের কাছ থেকেই স্বল্পমূল্যে নিতে পারেন। এতে করে আপনার ওয়েবসাইটের হোস্টিংয়ের সিকিউরিটি বেশি পাবেন এবং স্বল্পমূল্যে উন্নত সেবা পাবেন।

হোস্টিং এর পাশাপাশি অন্যান্য সার্ভিস এর বিষয়টি অনেকেই গুরুত্ব দেন না। যার ফলে বেশি মূল্যের সেবা অন্য কোথাও থেকে নিতে হয় এবং এতে অনেক ঝামেলাও পোহাতে হয়।

ডিসকাউন্ট ও কুপন

হোস্টিং কেনার আগে ওই কোম্পানির কোন ডিসকাউন্ট আছে কিনা সে বিষয়ে জেনে নিলে অনেক সময় অনেক বড় অংকের অর্থ সেভ হয়। কিছু কিছু কোম্পানি ডিসকাউন্ট এর জন্য কুপন কোড দিয়ে থাকে এবং সেগুলো কোন একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ব্যবহার করলে নির্দিষ্ট পরিমাণ ছাড় পাওয়া যায়। আবার অনেক সময় দেখা যায় কোন গোপন কোড ছাড়াই কোম্পানিগুলো ডিসকাউন্ট দিয়ে থাকে। তবে একটি বিষয় লক্ষণীয় যে কুপন কোড বা সরাসরি ছার যাই হোক না কেন প্রায় সবক্ষেত্রেই প্রথমবার কোন হস্টিং প্লান ক্রয় করার ক্ষেত্রেই তা প্রযোজ্য হবে।

অনেক সময় আমরা হুট করে ভুল করে বেশি পরিমাণ ডিসকাউন্ট দেখে বা অনেক ছাড়ের কুপন কোড পেয়ে কোন একটি হোস্টিং প্লান ক্রয় করে ফেলি এবং বছর শেষে যখন হোস্টিং প্যাকেজ টি রিনিউ করতে যাই তখন ওই প্যাকেজের প্রকৃত অর্থ দিয়ে রিনিউ করতে গিয়ে দেখা যায় মোটা অঙ্কের অর্থ ব্যয় হয়ে যায়। তাই কোন প্লান ক্রয় করার আগে অবশ্যই ক্লান্তির রেগুলার বা প্রকৃত প্রাইস জেনে নেয়া গুরুত্বপূর্ণ। তবে অন্যদিকে হোস্টিং প্যাকেজের সঠিক প্রাইস বা মূল্য জেনে কুপন কোড ব্যবহার করে বা সরাসরি ডিসকাউন্ট পাওয়াটা অবশ্যই ভালো দিক।

মানিব্যাক গ্যারান্টি

হোস্টিং কেনার ক্ষেত্রে অনেক ক্ষেত্রেই মানিব্যাক গ্যারান্টি অনেক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। ধরুন কোন কোম্পানি আপনাকে হোস্টিং সার্ভিস এ যে সকল সুযোগ-সুবিধা দেয়ার কথা ছিল সে সকল সুযোগ-সুবিধা গুলো কোন কারণে সঠিক ভাবে দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। এক্ষেত্রে আপনি যদি কোম্পানির সাপোর্ট থেকে আলোচনা করার পরেও সমাধান না হয়, সে ক্ষেত্রে কোম্পানি হোস্টিং কেনার পর নির্দিষ্ট একটি সময় পর্যন্ত কোম্পানি আপনাকে আপনার হোস্টিং কেনার অর্থ ফেরত দিয়ে থাকবে।

এই মানিব্যাক গ্যারান্টি প্রায় সকল কোম্পানি প্রদান করে থাকে। তবে প্রতিটি কোম্পানির আলাদা আলাদা সময় সীমা থাকে। যেমন ধরুন কিছু কোম্পানি হোস্টিং কেনার সর্বোচ্চ ১ মাসের মধ্যে মানিব্যাক গ্যারান্টির অর্থ ফেরত দেয়, আবার কিছু কোম্পানি সর্বোচ্চ ১৫ দিনের মধ্যে। তাই হোস্টিং কেনার আগে ওই কোম্পানির মানি ব্যাক পলিসি ভালোভাবে পড়ে নেয়া ভালো। কিছু কিছু কোম্পানি রয়েছে যাদের মানিব্যাক গ্যারান্টি তে গ্রাহকদের কোন প্রকার সমস্যার কথা জিজ্ঞেস করা হয় না। আবার কোন কোন কোম্পানি গ্রাহকদের কাছ থেকে সমস্যার বিষয়ে বিস্তারিত জেনে মানিব্যাক গ্যারান্টির অর্থ ফেরত দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে।

পেমেন্ট মেথড

পেমেন্ট মেথড বলতে কোন কোম্পানি থেকে হোস্টিং কিনতে হলে আপনাকে যে সকল উপায়ে ওই কোম্পানিকে অর্থ প্রদান করতে হবে তার উপায় গুলো কে বোঝানো হয়ে থাকে। অনেক কোম্পানি রয়েছে যেখানে এমন সব পেমেন্ট মেথড সাপোর্ট করে যে গুলোর পেমেন্ট করার পাদ্ধতি বা উপায় আপনার কাছে নাও থাকতে পারে, তাই পেমেন্ট মেথডস সম্পর্কে আগেই জেনে রাখা ভালো। বিশেষ করে যে সকল কোম্পানি একাধিক পেমেন্ট মেথড সাপোর্ট করে ঐ সকল কোম্পানির কাছ থেকে সার্ভিস নিয়োগ সুবিধাজনক। বাংলাদেশের জন্য বিকাশ, রকেট, সূর্য পে, এবং ইন্টারন্যাশনাল পেমেন্ট মেথড হিসেবে পেপাল, স্ট্রাইপ, ইত্যাদি সাপোর্টেবল কোম্পানিগুলো হোস্টিং কেনার জন্য বেস্ট।

শেষ কথা

টেকনিক্যালি হোস্টিং সম্পর্কে আলোচনা করতে গেলে আরও অনেক গভীরে যাওয়া সম্ভব। কিন্তু একটি আর্টিকেল এর মাধ্যমে মোটামুটি যতটুকু ধারনা দেয়া সম্ভব আপনাদের সাথে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। এই আর্টিকেলে থাকা প্রত্যেকটি বিষয় ভালোভাবে বুঝে একটি হোস্টিং প্ল্যান করলে সেটা আপনার জন্য অবশ্যই উপযোগী হবে বলে আশা করি।

এরপরেও আপনারা যদি গুরুত্বপূর্ণ কোন পয়েন্ট জেনে থাকেন, তাহলে কমেন্টসের মাধ্যমে জানালে অন্যান্য পাঠকগণ উপকৃত হবে। তাই মন্তব্যের মাধ্যমে আপনাদের ধারণা, ভালোলাগা, মন্দলাগা, ইত্যাদি বিষয় গুলো সবার সাথে শেয়ার করতে পারেন আপনার মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমে।

আজকের মত এ পর্যন্তই, দেখা হবে অন্য আরেকটি আর্টিকেলে। আল্লাহাফেজ।

স্পনসর কৃত বিজ্ঞাপন:

আমাদের প্রস্তাবিত বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ডোমেন এবং ওয়েব হোস্টিং সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান।

এক্সনহোস্ট (ExonHost) – বাংলাদেশের সেরা ডোমেন এবং ওয়েব হোস্টিংয়ের জন্য।

২৪×৭ সহায়তা ডেস্ক রয়েছে সকল গ্রাহকদের জন্য
BDIX হোস্টিং সহ বিশ্বব্যাপী টি ডাটাসেন্টার
→ সম্ভাব্য সেরা লেটেন্সি এবং দ্রুত লোড টাইমস
এসএসডি শেয়ার্ড ওয়েব হোস্টিং প্যাকেজ
→ ব্যবহারকারী-বান্ধব কন্ট্রোল প্যানেল
→ সহজ এবং সস্তায় ওয়েব হোস্টিং

এখনই সাইন-আপ করুন!