ডোমেইন বা ডোমেইন নাম কেনার আগে বিশেষ কয়েকটি বিষয়ের দিকে লক্ষ্য রেখে তারপর সুনির্দিষ্ট কোন কোম্পানি থেকে একটি ডোমেইন নেম ক্রয় করলে প্রয়োজন অনুযায়ি উপযুক্ত ও সবচাইতে ভালো মানের ডোমেইন নেম পেতে পারেন।
অনেকেই রয়েছেন যারা ডোমেইন নেম সম্পর্কে খুব বেশি ধারণা রখেন না বিশেষ করে তারা আনেক সময় কিভাবে ভাল ডোমেইন নেম পচ্ছন্দ করতে হয় বা কিভাবে ভাল ডোমেইন নাম কিনতে হয় সে বিষয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে যান। আর সঠিক ধরাণা না থাকার কারনে অনেক সময় দেখাযায় তারা এমন একটি ডোমেইন নেম কিনছেন যা কিছুদিন পরেই সে ডোমেইন নেম পছন্দ হচ্ছে না।
আর উপরক্ত সমস্যা গুলো থেকে আপনাদের সহজে পরিত্রান দিতে আপনাদের সাথে আমি এই আর্টিক্যালের মাধ্যমে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিসয় যেগুলো আপনাদের জানা থাকলে আপনার চাহিদার মধ্যে কাজের ধরন অনুযায়ি উপযুক্ত ডোমেইন নেম কিনতে পারছেন।
সুচিপত্র
ডোমেইন নেম কেনার আগে যে সকল বিষয়ে লক্ষ্য রাখবেন
ডোমেইন নেম পছন্দ করতে গিয়ে অনেকেই কনফিউশনে পড়ে যায়, কোন ডোমেইনটি নিব, কোনটা নিলে সুবিধা হবে, কোনটা নিলে সার্চ ইঞ্জিন ব্যাংক ভালো পাওয়া যাবে, এ ধরনের হাজারো প্রশ্ন থাকে শুরুর দিকে যখন কেউ ডোমেইন নেম কিনতে চায়।
যাতে আপনার ডোমেইন নেম পছন্দ করতে কোনো সমস্যা না হয় এজন্য আমি আপনাকে এখন কিছু টিপস দিয়ে দিব যেগুলো ব্যবহার করে আপনি খুব সহজেই আপনার জন্য উপযুক্ত ডোমেইন পছন্দ করতে পারবেন।
ডোমেইন নেম ও সার্চ র্যাংকিং ফ্যাক্টর
প্রথমেই আপনাকে বলি ডোমেইন নেম এর ওপরে আসলে সার্চ র্যাংকিংয়ের কোন কানেকশন নেই। আপনি যে ডোমেইন নেম ই নেন না কেন এতে ট্রাস্ট ব্যাংকের কোনো প্রভাব পড়বে না। অনেক পূর্বে একটা সময় ছিল যখন ডোমেইন নেম এর উপরে সার্চ র্যাংকিংয়ের কিছুটা প্রভাব পড়তো কিন্তু এখন আর সেটা কাজ করে না। সুতরাং ডোমেইন নেম এর উপরে সার্চ ইঞ্জিন রাঙ্কিং এর কোন ফ্যাক্টর নেই।
হাইফেন বা স্পেশাল ক্যারেক্টার
আরেকটি ব্যাপার হলো ডোমেইন নেম এর মাঝখানে কোন হাইফেন (–) ব্যবহার করবেন না। এতে করে আপনার ভিজিটরেরা আপনার ডোমেইন নেম সহজে মনে রাখতে পারবে না। অনেকেই আছে যারা ডোমেইন এর মাঝে হাইফেন ব্যবহার করেন, এর কারণ দেখা যাচ্ছে একটা ডোমেইন নেম আপনি পছন্দ করেছেন কিন্তু সেই ডোমেইন কি অ্যাভেলেবল নেই, কিন্তু মাঝখানে একটি হাইফেন ব্যবহার করলে সেটা অ্যাভেলেবল হচ্ছে, তাই বলে এর মানে এই না যে আপনি সেই ডোমেইনটি নিয়ে নিবেন। মাঝখানে এরকম হাইফেন স্পেশাল ক্যারেক্টার থাকলে সাধারণ যে ভিজিটরের আছেন তারা ডোমেইন নেম টি মনে রাখতে পারেন না। তাই ডোমেইন নেম এর মাঝে অন্য কোন কিছু ব্যবহার করা উচিত হবে না।
টপ লেভেল এবং ডটকম (.com) ডোমেইন নেম
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আপনার ডোমেইন নেম পছন্দ করার সময় আপনি ডটকম / .কম (.com) ডোমেইন তে বেশি প্রায়োরিটি দিবেন। এর কারণ হচ্ছে সাধারণ মানুষ ডটকম ডোমেইন সহজে মনে রাখতে পারে, এছাড়া অন্যান্য যে সকল এক্সটেনশন রয়েছে যেমন ডট নেট (.net) ডট অরগ (.org), ইত্যাদি ভিজিটররা মনে রাখতে পারে না। তাই তাই আপনি ডোমেইন পছন্দ করার সময় ডটকম (.com) ডোমেইন কে সবচাইতে বেশি প্রায়োরিটি দিবেন।
এরপরেও যদি আপনার মনে হয় আপনি অন্য এক্সটেনশনের ডোমেইনগুলো নিবেন যেমন,ডট অরগ (.org), ডট নেট (.net), ডট আই ও (.io), ইত্যাদি আপনি নিতে পারেন কোন সমস্যা নেই, এগুলো সবগুলোই টপ লেভেল ডোমেইন, কিন্তু আপনার জন্য ডটকম (.com) ডোমেইন নেয়াটা সবচাইতে বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
রিলেটেড ডোমেইন নেম পছন্দ করুন
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়আর সেটা হলো আপনি যে নিস বা কাজের জন্য ডোমেইন কিনবেন আপনার ডোমেইন টি সে নিস বা কাজের টপিক রিলেটেড ডোমেইন পছন্দ করবেন। এতে করে ভিজিটরেরা আপনার ডোমেইন নেম দেখে খুব সহজেই উক্ত সাইট ও তার কন্টেন্ট সম্পর্কে একটি প্রাথমিক ধারণা পেয়ে যাবেন।
ডোমেইন নেম পছন্দ করতে সময় নিন
একটি উপযুক্ত ডোমেইন বাছাই করতে পাঁচদিন, সাতদিন, বা দশ দিনও লেগে যেতে পারে, অনেকেই এরকম সময় নিয়ে চিন্তাভাবনা করে একটি ডোমেইন নেম পছন্দ করে থাকেন। এবং ৫০ থেকে ১০০ টি সম্ভাব্য ডোমেইন এর লিস্ট খাতায় লিখে ফেললেন, এরপর সেখান থেকে সময় নিয়ে ভেবেচিন্তে সঠিক ডোমেইন নেম পছন্দ করেন।
তাই আপনিও আপনার ডোমেইন নেম পছন্দ করার ক্ষেত্রে একটি সময় নিবেন কিছু ডোমেইন এর লিস্ট খাতায় লিখে ফেলবেন এবং সেখান থেকে আপনার জন্য বেস্ট ডোমেইনটি পছন্দ করবেন। যতগুলো সম্ভাব্য নাম ডোমেইন নেম আপনার মনে আছে তা একটা পর একটা একটি খাতায় লিখে ফেলুন, তারপর ওখান থেকে যেকোনো একটি আপনার জন্য বাছাই করে নিন।
শেষকথা
ডোমেইন নেম ও এর উপরে সার্চ রেংকিং এর কোনো প্রভাব নেই সুতরাং এটা নিয়ে টেনশন করার কোন প্রয়োজন নেই। আপনি যেকোনো একটি ডোমেইন নেম নিয়ে আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগের কাজ শুরু করতে পারবেন।
ভালো একটি ডোমেইন নেম পছন্দ করার ক্ষেত্রে আশা করি আপনাকে উপরের টিপসগুলো সহায়তা করবে। এছাড়াও একটি ভালো ডোমেইন নেম পছন্দ করার ক্ষেত্রে আপনার যদি এরকম আরো কিছু টিপস জানা থাকে তাহলে কমেন্ট করে জানিয়ে দিন যাতে করে অন্যরা সেখান থেকে উপকৃত হতে পারেন। এছাড়াও আপনার যদি উপরোক্ত আর্টিকেল বিষয়ে কোন কিছু জানার থাকে তাও আমাকে জানাতে ভুলবেন না।
সম্পূর্ণ লেখাটি ভালোভাবে পড়ার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে আজকের এ আর্টিক্যাল থেকে বিদায় নিচ্ছি….আল্লাহ হাফেজ।