হাই কোয়ালিটি ব্যাকলিংক তৈরি করতে প্রায় প্রতিটি ব্লগার বা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার রাই স্ট্রাগল করে থাকে। যারা তাদের ওয়েবসাইটের বা ব্লগের জন্য আর্টিকেল লিখে গুগল এডসেন্স এবং এফিলিয়েট মার্কেটিং নিয়ে কাজ করছে। কারণ সবাই জানে হাই কোয়ালিটি ব্যাকলিংক তৈরী করতে পারলে খুব সহজেই গুগল সার্চ রেংকিং এ চলে আসা যায় কিন্তু এই হাই কোয়ালিটি ব্যাকলিংক তৈরী করতে বেশিরভাগ ওয়েবমাস্টার বা ব্লগাররাই ফেইলর হয়ে যায়। যার জন্য একটা সময় তারা হতাশ হয়ে যায় এবং ব্লগিং ক্যারিয়ার থেকে আস্তে আস্তে সরে পড়ে।
আপনি যদি আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটের জন্য হাই কোয়ালিটি ব্যাকলিংক তৈরী করতে চান তাহলে আজকের লেখাটি আপনাকে দারুন ভাবে সহযোগিতা করতে যাচ্ছে। কারণ আজকের এই লেখায় আমি আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে ৬ টি কৌশল হাই কোয়ালিটি ব্যাকলিংক তৈরি করার। এই কৌশলগুলি আপনি আপনার ব্লগিং ক্যারিয়ারে প্রয়োগ করলে আপনি ভালো একটা ফলাফল দেখতে পারবেন তাহলে চলুন হাই কোয়ালিটি ব্যাকলিংক তৈরি করার কিছু উপায় আপনাকে বলে দেই।
আরও পড়ুন: ব্লগ বা ওয়েবসাইট এর গুগল সার্চ ইঞ্জিন র্যাঙ্কিং বাড়ানোর জন্য ৭টি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল
সুচিপত্র
যেভাবে হাই কোয়ালিটি ব্যাকলিংক তৈরী করবেন
গেস্ট ব্লগিং
প্রথম পদ্ধতি হচ্ছে গেস্ট ব্লগিং বা অতিথি লেখক যেটা কিনা হাই কোয়ালিটি ব্যাকলিংক তৈরি করার সবচাইতে ভালো একটি উপায়। আপনাকে গেস্ট ব্লগিংয়ের ব্যাপারটি একটু বিস্তারিত ভাবে বুঝিয়ে দিচ্ছি। গেস্ট ব্লগিং মানে হচ্ছে আপনি একজন গেস্ট বা অতিথি লেখক হিসাবে অন্যান্য ব্লগ বা ওয়েবসাইটের জন্য লেখালেখি করবেন। ধরুন পাঁচজন মানুষ তারা ব্লগিং করছে তাদের ওয়েবসাইট আছে, সেখানে তারা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লেখালেখি করছে, ধরে নেন আপনিও সেই পাঁচজনের মধ্যে একজন। এবং আপনিও আপনার দক্ষতা অনুযায়ী আপনার টপিক এর উপরে লেখালেখি করে আপনার ওয়েবসাইটে পাবলিশ করে দিচ্ছেন। ঠিক একই কাজ নিজের জন্য না করে অন্যান্য ওয়েবমাস্টার বা ব্লগারদের জন্য করবেন। তার মানে হল আপনি অতিথি লেখক হিসাবে অন্যান্য যে ওয়েবমাস্টার আছে তাদের ওয়েবসাইটের জন্য কনটেন্ট লিখে সেখানে সে কনটেন্টগুলো পাবলিশ করবেন।
এই কাজ করার জন্য আপনি আপনার ওয়েবসাইটের টপিকের সাথে মিলে এরকম ওয়েবসাইট খুঁজে বের করে তাদের ওয়েব সাইটের ভিজিটরদের সহায়ক কোন বিষয়ে আর্টিকেল লিখে ওই সকল ওয়েবসাইট পাবলিশ করবেন। এজন্য আপনাকে এই সকল ওয়েবসাইট মাস্টারদের সাথে বা ব্লগারদের সাথে আগে যোগাযোগ করতে হবে। প্রায় প্রতিটি ওয়েবসাইটে একটি করে কন্টাক্ট পেজ থাকে যে পেজের মাধ্যমে আপনি তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। সেখানে তাদের সাথে কন্টাক্ট করার জন্য ইমেইল এড্রেস অথবা যোগাযোগ ফর্ম দেয়া থাকে। এই যোগাযোগ ফর্ম বা ইমেইল এড্রেস এর মাধ্যমে আপনি ঐ সকল ওয়েবমাস্টারদের জানাবেন যে আপনি ঐসকল ওয়েবসাইটে কন্ট্রিবিউট করতে চান বা আপনার লেখা আর্টিকেল তাদের ওয়েবসাইটে প্রচার করতে চান।
যখন আপনি অন্যান্য ব্লগ বা ওয়েবসাইটের জন্য আর্টিকেল পাবলিশ করছেন ঠিক তখনই আর্টিকেল এর নিচে আর্টিকেল লেখক হিসেবে আপনার ওয়েবসাইটের একটি লিংক পাঠানোর সুযোগ পেয়ে যাবেন। প্রত্যেকটি ওয়েবমাস্টার বা ব্লগার তাদের ব্লগের আর্টিকেলের নিচে লেখক পরিচিতি সেকশন বা অথর বায়ো সেকশনে এ ধরনের লিঙ্ক বসানোর সুযোগ দিয়ে থাকে। বেশিরভাগ ব্লগার বা ওয়েব মাস্টাররা ই তাদের গেস্ট ব্লগারদের অথর বায়ো সেকশনে একটি ব্যাকলিংক দিয়ে দেয়। অথর বায়ো সেকশনে সাধারণত কোন আর্টিকেলের লেখক সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত কিছু তথ্য থাকে, এই যেমন ধরেন লেখক কোন ওয়েবসাইট অপারেট করছে, তার কি ভালো লাগে, সোশ্যাল মিডিয়া প্রফাইল ইত্যাদি বিষয়ে। আমি আপনার সুবিধার্থে নিচে একটি অথর বায়ো এর ছবি দিয়ে দিচ্ছি এটা দেখলেই আপনি কিছুটা ধারণা পেয়ে যাবেন।
এভাবেই গেস্ট ব্লগিংয়ের মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন ওয়েবসাইটে যোগাযোগ করে সে ওয়েবসাইটে লেখালেখি করে অথর বায়ো সেকশনে লিংক যুক্ত করার মাধ্যমে খুব সহজেই হাই কোয়ালিটি ব্যাকলিংক অর্জন করতে পারবেন। এইযে একজন ওয়েবসাইট ওনার আরেকটা ওয়েবসাইট ওনারদের সাথে যোগাযোগ করে যে লেখালেখি করছে এই লেখালেখি করার পদ্ধতিকে গেস্ট ব্লগিং বলে।
প্রোফাইল ব্যাকলিংক তৈরি করা
দ্বিতীয় পদ্ধতিটি হচ্ছে প্রোফাইল ব্যাকলিংক তৈরি করা। তাহলে চলেন এবার আমরা প্রোফাইল ব্যাকলিংক তৈরী কি এটা জানার চেষ্টা করি। বিভিন্ন ওয়েবসাইট রয়েছে ইন্টারনেটে যে সকল ওয়েব সাইটে আপনি রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করে আপনার একটি একাউন্ট খুলতে পারেন এবং সেই একাউন্টে প্রোফাইল সেকশনে আপনি আপনার প্রফাইল ইনফর্মেশন যুক্ত করতে পারেন। প্রফাইল ইনফর্মেশন বলতে ধরেন আপনার নাম আপনার জন্ম তারিখ আপনার সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বিবরন আপনার ওয়েবসাইটের লিংক আপনার অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল লিংক ইত্যাদি।
যেমন ধরুন ফেসবুক পেজ। আপনি যদি একটি ফেসবুক পেজ তৈরি করেন সেখানে বিভিন্ন ধরনের তথ্য যুক্ত করতে পারবেন, এবং ইমেইল এড্রেস, পেজ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বিবরণ, ওই পেজের জন্য একটি ওয়েবসাইটের লিংক, ওয়েবসাইট কবে থেকে শুরু করেছেন, কি কি সেবা দিচ্ছেন, ওয়েবসাইটের জন্য পেজ হলে এটা কি ধরনের ওয়েবসাইট এই সমস্ত বিষয় আপনি ওই ফেসবুক পেজের প্রফাইল সেকশনে যুক্ত করতে পারবেন। উদাহরণস্বরূপ আমি ”টেক ল্যাব বাংলা” ফেসবুক পেজের একটি ছবি আপনার সাথে শেয়ার করছি এটা দেখে আপনি সহজেই বিষয়টি বুঝে যাবেন।
তাহলে আপনিও এরকম আপনার একটি ফেসবুক পেজ খুলে সেখানে আপনার ওয়েবসাইটের বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য যুক্ত করবেন সাথে আপনার ওয়েবসাইটের লিংক কেউ যুক্ত করে দিবেন। এছাড়াও ঠিক একইভাবে ইউটিউব থেকেও আপনি প্রোফাইল ব্যাকলিংক পেতে পারেন। আমি আপনার বোঝার সুবিধার্থে আবারো আর একটি ছবি শেয়ার করব ”টেক ল্যাব বাংলা” ইউটিউব চ্যানেলের প্রোফাইল সেকশনের যেটা দেখে আপনি বাস্তবে একটা উদাহরন পাবেন। তো আপনি চাইলে আপনার ওয়েবসাইটের জন্য একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলতে পারেন এবং কোন প্রকার ভিডিও আপলোড না করেই সেখানে আপনার ওয়েবসাইটের লিংক যুক্ত করে দিতে পারেন।
আবার একইভাবে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া টুইটারেও আপনি একটা প্রোফাইল খুলতে পারেন এবং প্রোফাইল সেকশনে আপনার ওয়েবসাইটের লিংক যুক্ত করে দিতে পারেন। ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটার এগুলো তো অনেক জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া, এগুলো ছাড়াও আরো অনেক সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইট রয়েছে যে সকল ওয়েব সাইটে একাউন্ট খোলার মাধ্যমে আপনি আপনার ওয়েবসাইটের জন্য একটি প্রফাইল ব্যাকলিংক নিয়ে নিতে পারেন। আপনি যদি “High PR Profile Creation Site Lists” এই কিওয়ার্ড টি লিখে গুগলে সার্চ দেন তাহলে দেখবেন অসংখ্য এরকম প্রোফাইল তৈরি করার ওয়েবসাইটের লিস্ট আপনার সামনে চলে এসেছে। সেখান থেকে আপনার পছন্দমত ওয়েবসাইটে একাউন্ট করে সেগুলোর প্রোফাইলে আপনার ওয়েবসাইটের লিংক যুক্ত করে দিন। আর এভাবেই আপনি আপনার ওয়েবসাইটের বা ব্লগের জন্য হাই কোয়ালিটির ব্যাকলিংক তৈরি করে ফেলতে পারেন।
তবে একটা বিষয় মাথায় রাখবেন আপনি যখন গুগলে এসকল ওয়েবসাইটের খোঁজ করবেন তখন শতশত লিংক পেয়ে যাবেন। সেই ওয়েবসাইটের লিংকগুলোর একটি লিস্ট আপনি আপনার কম্পিউটারে সংরক্ষণ করুন। সেখান থেকেই সবগুলো ওয়েবসাইটেই গণহারে আপনাকে প্রোফাইল তৈরি করতে হবে না। আপনি আপনার ওয়েবসাইট রিলেটেড যে সকল ওয়েবসাইট রয়েছে শুধুমাত্র সেই সকল ওয়েবসাইটের লিংক গুলোতেই অ্যাকাউন্ট করে প্রোফাইল তৈরি করে সেখানে আপনার ওয়েবসাইটের লিংক যুক্ত করে দিন। আপনি যদি গণহারে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে একাউন্ট করে সেখানে প্রফাইল ক্রিয়েট করেই লিংক যুক্ত করে দেন সেক্ষেত্রে আপনার ওয়েবসাইটের রেংকিং বৃদ্ধি না পেয়ে বরংচ রেংকিং কমে যেতে পারে। সুতরাং এই কাজটি কখনোই করবেন না।
ফ্রি প্রোডাক্ট বা কনটেন্ট পাবলিশ করা
ফ্রি বি প্রোডাক্ট বা কনটেন্ট পাবলিশ করার বিষয়টি আমি আমার আরো অন্যান্য অনেক লেখায় আলোচনা করেছি, তারপরেও এখন আবারো বলছি। আপনি আপনার ওয়েবসাইটের নিস বা টপিক রিলেটেড যে সকল বিষয়ে পারেন বা আপনার কাছে যে সকল রিসোর্স রয়েছে যেগুলো আপনি আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর দের সাথে শেয়ার করতে পারেন। আপনার ওয়েবসাইটে ডাউনলোড লিঙ্ক দিয়ে দিতে পারেন যেগুলো তারা ডাউনলোড করে ফ্রিতে তাদের প্রোজেক্টের জন্য ব্যবহার করতে পারবে এটা হতে পারে যে কোনো ধরনের ফ্রী প্রোডাক্ট বা কনটেন্ট। এছাড়াও আপনি চাইলে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সার দের দিয়ে আপনার ওয়েবসাইট টপিক রিলেটেড কনটেন্ট তৈরি করে সেটাও শেয়ার করতে পারেন আপনার ওয়েবসাইটের রিডারদের ফ্রিতে ব্যবহারের সুযোগ দেওয়ার জন্য।
এতে করে আপনার ওয়েবসাইটের যে সকল ভিজিটর রয়েছে বা রিডার রয়েছে তারা তাদের অনলাইন বন্ধুবান্ধবের সাথে বিভিন্ন ফোরাম বা সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনার এই কনটেন্টটি শেয়ার করবে। আর সেখানে শেয়ার করার সময় অটোমেটিক্যালি আপনার ওয়েবসাইটের লিংকও শেয়ার করে দেবে, আর এভাবেই আপনার হাই কোয়ালিটি ব্যাকলিংক পেয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়ে যাবে। এই পদ্ধতিটি অনলাইনে অসংখ্য ব্লগার, ওয়েবমাস্টাররা বিশেষ করে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটাররা প্রয়োগ করে যাচ্ছে সফলতার সাথে এবং আমিও ব্যবহার করছি। সুতরাং আপনিও এটি আপনার ওয়েবসাইটে এই পদ্ধতিটি প্রয়োগ করবেন। এতে করে আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটরেরা উপকৃত হবে এবং আপনার ওয়েবসাইটের সাথে তাদের একটি সম্পর্ক সৃষ্টি হবে এবং তারা বার বার আপনার ওয়েবসাইট ভিজিট করতে থাকবে। তবে অবশ্যই মনে রাখবেন ফ্রি বি প্রোডাক্ট বা কনটেন্ট গুলো যেন আপনার ওয়েবসাইটের টপিক রিলেটেড হয়।
অন্যান্য ব্লগ ও ওয়েবসাইট কে ব্যাকলিংক দিন
এই বিষয়টাও আমি আমার ওয়েবসাইটে লেখা অন্যান্য অনেক লেখায় আলোচনা করেছি আপনার সুবিধার্থে এটি ও আবার আলোচনা করছি। আপনি আপনার ওয়েবসাইটের টপিক রিলেটেড বিভিন্ন ওয়েবসাইটের লিংক আপনার ওয়েবসাইটে লেখা কনটেন্ট বা আর্টিকেল এর মধ্যে যুক্ত করে দিবেন। বিষয়টি হল এমন আপনি গুগোল সার্চ করে আপনার ওয়েবসাইটের টপিক রিলেটেড বিভিন্ন ওয়েবসাইট খুঁজে বের করবেন। আর এজন্য আপনি আপনার টপিক লিখে গুগলের সার্চ পেজে সার্চ দিলে ১ থেকে ১০ বা ২০ পেজ এর মধ্যেই অনেকগুলো লিঙ্ক পেয়ে যাবেন।
এই লিংক গুলোর একটি লিস্ট তৈরি করুন এবং সেখান থেকে বাছাইকৃত ভালো মানের কয়েকটি ওয়েবসাইট সম্পর্কে আপনি আপনার ওয়েবসাইটে একটি আর্টিকেল পাবলিশ করে দিবেন এবং সেই আর্টিকেল আর্টিকেলে ঐ সকল ওয়েবসাইট সম্পর্কে প্রশংসনীয় কিছু বিষয় লিখে তার সাথে ঐসকল ওয়েবসাইটের লিংক যুক্ত করে দিবেন। এতে করে বিভিন্ন উপায় আপনার এই লিংকগুলো সম্পর্কে ওই ওয়েবসাইটের ওনারা জানতে পারবে এবং বিষয়টি লক্ষ্য করে একটা সময়ে তাদের ওয়েব সাইটের কনটেন্ট এর মধ্যেও আপনার ওয়েবসাইটের লিংকি এক সময় যুক্ত করে দিবে। হয়তোবা আপনি ১০ টি ওয়েবসাইট নিয়ে লিখে দশটি লিংক দিলেন কিন্তু, সেখান থেকে কমপক্ষে দুই থেকে তিনটি বা পাঁচটি ওয়েবসাইটের লিংক আপনি পেয়ে যাবেন এবং এটা পাওয়ার চান্স খুব বেশি থাকে।
এছাড়াও এতে অনলাইনে অন্যান্য ওয়েবসাইটের সাথে আপনার ওয়েবসাইটের পরিচিতি ও সম্পর্ক বৃদ্ধি পেতে থাকে ও আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর দের মধ্যে একটি লুপের সৃষ্টি হয়। যার কারণে অনেক সময় আপনার ওয়েবসাইট থেকে ওই সকল ওয়েবসাইটে এবং ওই সকল ওয়েবসাইট থেকে আপনার ওয়েবসাইটে এভাবে ভিজিটরেরা চক্রাকারে বার বার ভিজিট করতে থাকে এবং তথ্য নিতে থাকে। এতে আপনি উপকৃত হলেন, অন্যান্য ওয়েবসাইট অন্যরা উপকৃত হল এবং আপনার ওয়েবসাইটে যারা ভিজিট করল তারাও ভিন্ন ধরনের নতুন নতুন কনটেন্ট পেয়ে উপকৃত হলো । এটাকে এক ধরনের উইন-উইন সিচুয়েশন বলা যেতে পারে। সুতরাং আপনি এই কৌশলটি অবশ্যই ফলো করবেন এবং অ্যাডভান্স অন্যান্য ওয়েবসাইট সম্পর্কে আর্টিকেল লিখে তাদেরকে ডুফলো ব্যাকলিংক দিয়ে দিবেন।
টেস্টিমোনিয়াল
অনলাইনে আপনার বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট কিন্তু হতে পারে সফটওয়্যার বা বিভিন্ন ধরনের টুলস কিন্তু হতে পারে আপনার ওয়েবসাইটের জন্য যে সকল কোম্পানি গুলোর কাছ থেকে আপনি প্রডাক্ট টুলস এগুলো কিনবেন তাদেরকে আপনি টেস্টিমোনিয়াল দিন প্রত্যেকটা কোম্পানি পছন্দ করে তাদের কাস্টমার এর কাছ থেকে এরকম টেস্টিমোনিয়াল পেতে। যে সফটওয়্যার টুল বা যেকোনো ধরনের প্রোডাক্ট আপনি কিনলেন সেই প্রোডাক্ট সম্পর্কে পজেটিভ একটি রিভিউ দিন।
টেস্টিমোনিয়াল মানেই হচ্ছে প্রশংসা করা, তারমানে আপনি একটা কাস্টমার হিসেবে অন্য কাস্টমারকে বলুন বা বলবেন যে ঐ প্রোডাক্টটা ব্যবহার করে আপনি কতটুকু উপকৃত হয়েছেন। তখন ওই প্রোডাক্ট যারা তৈরি করেছে তারা আপনার টেস্টমনিয়াল টি তাদের ওয়েবসাইটে আপনার ওয়েবসাইটের লিংক ও নামসহ যুক্ত করে দিবে। এতে করে আপনার একটি হাই কোয়ালিটি ব্যাকলিংক পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়ে যাবে এবং এভাবে অনেকেই হাই কোয়ালিটি ব্যাকলিংক পেয়ে থাকে। যেটা আপনি ও আপনার ব্লগিং ক্যারিয়ারে চেষ্টা করে দেখতে পারেন। সুতরাং আপনি যে সকল কোম্পানির কাছ থেকে বিভিন্ন প্রোডাক্ট আপনার ওয়েবসাইটের প্রয়োজনে কিনেছেন না কিনবেন সে সকল ওয়েবসাইটকে টেস্টমনিয়াল দিন তারাও আপনাকে অটোমেটিক্যালি হাই কোয়ালিটি ব্যাকলিংক দিয়ে দিবে। এবং টেস্টমনিয়াল কৌশলটি দারুন ভাবে কাজে লাগে গুগোল রেংকিংয়ে।
রিসোর্সফুল পোস্ট
যে কেউ যেকোনো জিনিস-ই শিখতে চায় না কেন তার বিভিন্ন রিসোর্সের প্রয়োজন হয়ে থাকে। ধরেন আপনি ব্লগিং শুরু করতে যাচ্ছেন তাহলে দেখবেন ব্লগিং সম্পর্কে আপনার অনেক রিসোর্স এর প্রয়োজন হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ এই লেখা টি আপনি দেখতে পারেন, এই লেখাটি হচ্ছে একটি রেসোর্স জেটা কিনা আপনাকে আপনার ওয়েবসাইটর বা ব্লগের ব্যাকলিংক কিভাবে তৈরি করতে হয় সেটা শিখতে সহায়তা করছে। এই লেখার মাধ্যমে আপনাকে আমি কিছু টিপস, ট্রিক্স দিচ্ছি যেটা কিনা আপনার জন্য রিসোর্স।
আপনার ওয়েবসাইটের জন্য আপনি বিভিন্ন বিষয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করেছেন, আপনার বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান অর্জন হয়েছে, আপনি ঐ সকল অভিজ্ঞতা বা জ্ঞান কে কাজে লাগিয়ে আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর দের জন্যও রিসোর্স তৈরি করুন যেন তারা সেটা থেকে আপনি যেভাবে অন্যান্য ওয়েব সাইট থেকে শিখতে পেরেছেন ঠিক সেভাবে শিখতে পারে। আর এটাই হবে আপনার ওয়েবসাইটের রিসোর্স আপনার ওয়েবসাইটের আসা ভিজিটর দের জন্য। কিছুক্ষণ আগেই আমরা আলোচনা করেছি যে কিভাবে প্রফাইল ক্রিয়েশন ওয়েবসাইট খুঁজে পাওয়া যায় গুগলের মাধ্যমে, সেখানে কিন্তু আমরা দেখেছি বিভিন্ন ওয়েবসাইট বিভিন্ন ভাবে তাদের ওয়েবসাইটে অনেক লিঙ্ক এর লিস্ট দিয়ে রেখেছে। এইযে লিংকগুলোর লিস্ট এগুলো হচ্ছে একেকটা রিসোর্স।
ভিজিটররা রিসোর্স খুব পছন্দ করে এবং রিসোর্সফুল ওয়েবসাইটের প্রতি তারা খুব সহজে আকৃষ্ট হয় দ্বিতীয়বার ভিজিট করার জন্য। এবং এই রিসোর্সফুল কনটেন্টগুলো বা আর্টিকেলগুলো খুব বেশি শেয়ার হয় অনলাইনে, বিভিন্ন ফোরামে, বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় এগুলো নিয়ে খুব আলোচনা হয়, এবং শেয়ার হয়। আর এভাবে আপনার হাই কোয়ালিটি ব্যাকলিংক পেয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সুতরাং আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটে এরকম রিসোর্সফুল কনটেন্ট পাবলিশ করেন তাহলে লিংক শেয়ারের মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটের ও কিন্তু হাই কোয়ালিটি ব্যাকলিংক পেয়ে পেয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে।
আপনার কথাই চিন্তা করুন, আপনি বিভিন্ন ফোরামে, বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায়, বিভিন্ন গ্রুপে, বিভিন্ন পেজে কিন্তু প্রশ্ন করেন যে, কোথায় গেলে এটা পাব….কোথায় গেলে ওটা পাবো। আবার দেখা যায় আপনার এই সকল প্রশ্নের উত্তর অনেকেই দিয়ে থাকে এছাড়া কিনা বলে থাকে যে আপনি এই লিংকে গেলে এটা পাবেন…ওই লিংকে গেলে ওই রিসোর্স পাবেন। তাহলে আপনিও যদি আপনার ওয়েবসাইটে এরকম রিসোর্সফুল কনটেন্ট পাবলিশ করেন সেক্ষেত্রে, আপনার লিংকগুলোও এভাবে অন্যান্যরা শেয়ার করতে থাকবে এবং এতে আপনি হাই কোয়ালিটি ব্যাকলিংক পাওয়ার একটা চান্স তৈরি করে ফেলতে পারলেন এবং সোশ্যাল মিডিয়া বা বিভিন্ন সাইট থেকেথেকে ট্রাফিক জেনারেট করার সুযোগ সৃষ্টি করে ফেললেন।
তাহলে আপনারা জেনে গেলেন হাই কোয়ালিটি ব্যাকলিংক পাওয়া আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো অনেকগুলো রিসোর্স যুক্ত কনটেন্ট। সুতরাং, আপনি অবশ্যই এই কৌশলটি আপনার ব্লগিং ক্যারিয়ারে প্রয়োগ করবেন। তো পাঠক আশা করি আজকের এই লেখাটি আপনাকে দারুন ভাবে বুঝতে সহযোগিতা করেছে যে কিভাবে হাই কোয়ালিটি ব্যাকলিংক পাওয়া যায়। এবং এখন থেকে এই খুব সহজ কৌশল গুলো আপনি আপনার ব্লগিং ক্যারিয়ারে এপ্লাই করবেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করছি এবং আপনাকে শেখানোর চেষ্টা করছি।
আপনি আরো এরকম কোন কোন বিষয়ে শিখতে চান যেগুলো আপনাকে শেখালে আপনি উপকৃত হবেন আথবা আপনার শেখা দরকার এটা অবশ্যই আমাকে নিচে কমেন্ট করে জানাবেন। আমি যে কোন ধরণের মন্তব্য কে স্বাগত জানাই। সুতরাং হোক পজেটিভ, নেগেটিভ যে কোন প্রশ্ন, পরামর্শ যাই হোক আপনি আমাকে জানাতে দ্বিধা করবেন না। কারণ আপনার ভালোলাগা, মন্দলাগা এসকল মন্তব্যের মাধ্যমে আমি বুঝতে পারি ও অনুপ্রাণিত হতে পারি পরবর্তীতে কিভাবে আরো ভাল ভাল কনটেন্ট আপনাদের জন্য তৈরী করতে পারা যায় সেই বিষয়টি। সুতরাং আপনার একটি মন্তব্য আমার জন্য এবং আপনার জন্য ও অন্যান্য পাঠকদের জন্য অনেক মূল্যবান।
আজকের লেখায় এ পর্যন্তই, আবার দেখা হবে পরবর্তী কোন এক লেখায়। সে পর্যন্ত ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই কামনা করে সম্পূর্ণ লেখাটি ধৈর্য সহকারে পড়ার জন্য ধন্যবাদ এর সাথে বিদায় নিচ্ছি। ( আসসালামু আলাইকুম )