হ্যালো পাঠক! আজ আমি আপনাকে কন্টেন্ট রাইটিং এর উপর কয়েকটি কৌশল শেখাবো যে কৌশলগুলো সঠিকভাবে অ্যাপ্লাই করলে আপনার কনটেন্ট রাইটিং ক্যারিয়ার বা ব্লগিং ক্যারিয়ার আপনি যথেষ্ট এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন। তাহলে চলুন কনটেন্ট রাইটিংয়ের উপরে কৌশলগুলো আপনাকে বলে দেই।
কৌশল বলে দেয়ার আগে আপনাকে আগে বলে দেই আসলে কনটেন্ট রাইটিং টা কি বা কনটেন্ট রাইটিং জিনিসটা আসলে কি?
কনটেন্ট রাইটিং বলতে বোঝায় আর্টিকেল রাইটিং। আপনি বিভিন্ন বিষয়ের উপরে আর্টিকেল লিখবেন। কনটেন্ট রাইটিং আপনি আপনার নিজের ওয়েবসাইটের জন্য করতে পারেন অথবা অন্যদের জন্য লিখে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন। তারমানে অন্যান্য যেসকল ওয়েবসাইট মালিকরা আছে তাদের জন্য আপনি একজন ফ্রীলান্স রাইটার হিসেবে লেখালেখি করতে পারেন। এছাড়াও আপনি বিভিন্ন কোম্পানিতে কনটেন্ট রাইটার বা আর্টিকেল রাইটার হিসেবে জব করতে পারেন, এবং সেই কোম্পানির ক্লায়েন্ট বা কাস্টমার যারা আছে তাদের জন্য বিভিন্ন বিষয়ের উপরে লেখালেখি করতে পারেন। এই যে লেখালেখি করার বিষয় গুলো আছে এগুলোকেই বলা হচ্ছে কনটেন্ট রাইটিং।
চলুন আমরা কনটেন্ট রাইটিং শিখতে শুরু করি। যে কৌশলগুলো আপনাকে শিখাবো তা আপনি আপনার ব্লগিং বা কনটেন্ট রাইটিং ক্যারিয়ারে প্রয়োগ করলে আপনি যথেষ্ট ভাল একটি ডেভলপমেন্ট দেখতে পারবেন।
সুচিপত্র
যে বিষয়গুলো পারেন সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে লেখা শুরু করুন
শুরুতেই আমি আপনাকে যে কৌশলটি শেখাতে যাচ্ছি সেটি হচ্ছে একেবারে নতুনদের জন্য। যারা একেবারেই নতুন কনটেন্ট রাইটিং শুরু করতে, চায় ব্লগিং শুরু করতে চায়, কিন্তু বুঝতে উঠতে পারছে না যে কোন বিষয়ের উপরে আমি লিখব, কোন বিষয়ের উপরে লিখলে আমি ব্লগিংয়ে সফল হতে পারব। এই সকল বিষয় নিয়ে চিন্তা করতে করতেই সময় পার হয়ে যাচ্ছে কিন্তু শুরু আর করা হচ্ছে না। এই ক্ষেত্রে আপনার প্রতি আমার সাজেশন হলো আপনি যে সকল বিষয় গুলি অলরেডি শিখে ফেলেছেন সেই সকল বিষয়ের উপরে আপনার ওয়েবসাইটে আর্টিকেল পাবলিশ করে দিন।
দেখুন আমরা প্রত্যেকেই কোনো না কোনো বিষয়ে জানি। একটু ভালোভাবে চিন্তা করলেই আমরা সেই বিষয়গুলিকে আমাদের মাথা থেকে বের করে কাজে লাগাতে পারব। আমরা নিজেরা অলরেডি যে সকল বিষয়ে জানি যে সকল বিষয় আসলে চিন্তাই করি না। যার দরুন সব সময় চিন্তা করতে থাকি যে কোনটা নিয়ে লিখব, কোনটা নিয়ে লিখলে সফল হওয়া যাবে ইত্যাদি। আমি আপনাকে এবার একটা উদাহরণ দেই; ধরুন আপনি পারেন কিভাবে ইউটিউবে একটি চ্যানেল তৈরি করতে হয়। আবার আপনিও পারেন কিভাবে একটি ইউটিউব চ্যানেল কাস্টমাইজ করতে হয়। আপনি ফটোশপ সফটওয়্যার ব্যবহার জানেন এবং এও যানেন কিভাবে এটা ব্যবহার করে ছবি ডিজাইন করতে হয়। অথবা ওয়ার্ডপ্রেসের মত সফটওয়্যার ব্যবহার করে একটি ওয়েবসাইট কিভাবে তৈরি করা যায়। অথবা ভিডিও এডিটিং কিভাবে করা যায়। ভিডিও বা ফটো এডিটিং সফটওয়্যার গুলো কিভাবে ব্যবহার করতে হয়। কিভাবে ফেসবুকে পেজ তৈরি করা যায়, সেই পেজে কিভাবে কভার ফটো যুক্ত করা যায় বা লোগো যুক্ত করতে হয়, ফেসবুকে কিভাবে গ্রুপ ক্রিয়েট করতে হয়। এইযে ছোট বিষয় গুলি, এই বিষয়গুলি কিন্তু আপনি, আমি, আমরা, সকলেই কম বেশী জানি। এই বিষয়গুলি কিন্তু চাইলে আপনি আপনার ওয়েবসাইটে কনটেন্ট আকারে পাবলিশ করে দিতে পারেন।
একটু ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করলে এই ধরনের টিপস, ট্রিক্স আপনার মাথা থেকে বের হয়ে আসবে এবং খুব সহজেই ১৫ থেকে ২০ টি টপিকের উপরে কনটেন্ট রাইটিং করা শুরু করে দিতে পারবেন। এই যে বিষয় গুলো আছে এইসব বিষয়ের উপরেই আপনি কন্টেন্ট পাবলিশ করে দিন। কোন টপিক টি পছন্দ করলে ভালো হবে, কোনটা বেশি লাভজনক, এ সকল বিষয়ে খুব বেশি চিন্তাভাবনা না করে বরঞ্চ যে বিষয়গুলি আপনি পারেন, সেটা যত সিম্পল বিষয় হোক না কেন, আপনি সেই বিষয়ে আর্টিকেল লিখে ফেলুন এবং আপনার ওয়েবসাইটে পাবলিশ করে দিন। এভাবেই একটি একটি করে আপনার ওয়েবসাইটে দেখবেন এক সময় অনেকগুলো কনটেন্ট হয়ে গেছে এবং এতে করে আপনি অনেক কিছু শিখে ফেলতে পারবেন। যেটা কিনা পরবর্তীতে একটি ভালো মানের টপিক বাছাই করতে আপনাকে সাহায্য করবে।
নতুনরা কনটেন্ট রাইটিং এর জন্য কিভাবে বিষয় বা পছন্দ করতে পারে কোন বিষয়টি ভালো হবে এ বিষয়ে আমি এ বিষয়ে আমি অলরেডি আমার ওয়েবসাইটে একটি আর্টিকেল বিস্তারিতভাবে পাবলিশ করেছি যার লিঙ্ক আমি নিচে দিয়ে দিচ্ছি আপনি সেখান থেকে এটা পড়ে নিতে পারেন।
ব্লগিং এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে কিভাবে ভালো টপিক বা নিস নির্বাচন করবেন
সুতরাং, নাম্বার ওয়ান আপনাকে আমি যে গল্পটি বললাম সেটা হচ্ছে যে বিষয়গুলো আপনি অলরেডি শিখে ফেলছেন সেটা যত ছোট হোক বা সিম্পল হোক সেটার উপরেই আপনি আর্টিকেল লিখে আপনার ওয়েবসাইটে পাবলিশ করে দিন। এটা একটা দারুন আইডিয়া কনটেন্ট টপিক খুঁজে বের করার এবং কনটেন্ট তৈরি করার। আমিও যখন নতুন ছিলাম, আমিও বুঝতে পারতাম না কোন বিষয়টি আমার জন্য ভালো হবে, কোন বিষয়ে লিখলে আমি এখান থেকে একটি ক্যারিয়ার অপরচুনিটি তৈরি করতে পারব, তখন আমি কি করেছি, আমি যে বিষয়গুলি জানি বা জানতাম সে বিষয়গুলির উপরেই লেখালেখি শুরু করে দিয়েছিলাম। আজ যেটা থেকে আমি ভালো মানের একটি সফলতা অর্জন করতে পেরেছি।
চেইন কনটেন্ট তৈরি করা
কনটেন্ট রাইটিংয়ের আরো একটি দারুন আইডিয়া হল চেইন কনটেন্ট তৈরি করা। এবার আসেন চেইন কনটেন্ট কি সেই বিষয়ে জানি। এটা বুঝানোর জন্য আমি একটা আপনাকে উদাহরণ দেই; ধরুন আপনি একটি আর্টিকেল পাবলিশ করলেন যে ”কিভাবে একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে হয়” ঠিক তার পরবর্তী আর্টিকেলটি আপনি পাবলিশ করবেন ”হাউ টু অ্যাড চ্যানেল আর্ট ইন ইউটিউব চ্যানেল”। ইউটিউব চ্যানেলে কিভাবে চ্যানেলে আর্ট যুক্ত করতে হয় অথবা ইউটিউব চ্যানেলে কিভাবে ব্যানার যুক্ত করতে হয় এবং পরবর্তীতে আরও একটি আর্টিকেল পাবলিশ করলেন ”হাউ টু ক্রিয়েট ইউটিউব চ্যানেল আইকন বা লোগো” বা ”হাউ টু ক্রিয়েট ইউটিউব ভিডিও থাম্বনেইল”।
এইযে টপিকগুলো আমি এতক্ষণ বললাম এগুলোর প্রত্যেকটাই কিন্তু একটির সাথে আরেকটি জড়িত। যে ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইট ইউটিউব চ্যানেল ক্রিয়েট করা শিখতে আসবে তারই কিন্তু পরবর্তীতে প্রয়োজন হবে, কিভাবে ইউটিউবে একটি চ্যানেল আর্ট যুক্ত করতে হয়, আবার কিভাবে ইউটিউবে লোগো যুক্ত করতে হয়, কিভাবে ইউটিউবের ভিডিওর থামনেল যুক্ত করতে হয় বা বানাতে হয়, এক কথায় বলা যেতে পারে কিভাবে ইউটিউব চ্যানেলকে কাস্টমাইজ করতে হয়। তার মানে হচ্ছে ইউটিউব চ্যানেল কিভাবে ক্রিয়েট করতে হয় এটি শিখতে এসে সে কিন্তু আপনার ধারাবাহিক অন্যান্য কনটেন্ট গুলো পড়তে শুরু করবে আর এটা কেই বলে চেইন কনটেন্ট।
আরেকটি উদাহরণ দেই; ধরুন আপনি ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে ফেলছেন। এখন ওয়েবসাইট শুরুর দিকেই আপনি একটি কন্টেন্ট তৈরি করে ফেলতে পারেন যে “কিভাবে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হয়” তার পরবর্তী কনটেন্টটি আপনি লিখে ফেলতে পারেন যে ”বেস্ট হস্টিং কম্পানি ফর লঞ্চিং ওয়েবসাইট” তার মানে হল বেস্ট হস্টিং যে সার্ভিস গুলো আছে বা হোস্টিং রিভিউ টাইপের কিছু কনটেন্ট আপনি তৈরি করে ফেলতে পারেন। দেখবেন এই হোস্টিং রিভিউ আর্টিকেল ওই ভিজিটর পড়তে শুরু করেছে, যে কিনা আপনার ওয়েবসাইটে এসেছে কিভাবে ওয়েবসাইট তৈরি করতে হয় তা শিখতে।
কারন যে কিনা শিখতে এসেছে একটি ওয়েবসাইট কিভাবে তৈরি করতে হয় তারই কিন্তু ওয়েবসাইটটি তৈরি করতে কিছুক্ষণ পরেই হোস্টিং সম্পর্কে ধারনা লাগবে কারন একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে একটি হোস্টিং লাগে। সুতরাং এক্ষেত্রে আপনি ওয়েবসাইট তৈরীর আর্টিকেলটির মধ্যে পরবর্তী হোস্টিং সম্পর্কিত আর্টিকেলটির লিংক করে দিতে পারেন যেখান থেকে কিনা সে আপনার হোস্টিং সম্পর্কিত আর্টিকেলটিও পড়তে শুরু করবে। ওয়েবসাইট তৈরি করা শিখতে এসে সে হোস্টিংয়ের আর্টিকেলটিও পড়ল, এই যে একটা সাথে আর একটা আর্টিকেলের সম্পর্ক এগুলোকেই বলা হয় চেইন কন্টেন্ট।
অর্থাৎ আপনার ভিজিটর দের জন্য একটি বিষয়ে শিখাতে গিয়ে ওই বিষয় রিলেটেড আরো কিছু বিষয় এর লিঙ্ক আর্টিকেলে যুক্ত করে দেওয়া যেটা তার ঠিক পরবর্তীতে ওই ভিজিটরের প্রয়োজন হবে। আর এভাবে একটি ভিজিটর অধিক সময় আপনার ওয়েবসাইটে অবস্থান করবে এবং আপনার ওয়েবসাইটের পেজভিউ সংখ্যা বাড়াতে থাকবে। সুতরাং হল এমন এক ধরনের কনটেন্ট রাইটিং পদ্ধতি যেটা কিনা যেকোন ব্লগার বা কনটেন্ট ক্রিয়েটর তাদের ওয়েবসাইটের জন্য কম বেশি ব্যবহার করে থাকে। এবং সঠিক নিয়মে এই কৌশলটি ব্যবহার করে অনেকেই আজ সফল হচ্ছে। সুতরাং আপনিও এই কৌশলটি আপনার ওয়েবসাইটে আর্টিকেল লিখে পাবলিশ করার জন্য ব্যবহার করবেন।
ফ্রী বি বা প্রডাক্ট পাবলিশ করা
৩ নম্বর বা পরবর্তী পদ্ধতিটি হচ্ছে আপনার ওয়েবসাইটে ফ্রী বি কন্টাক্ট পাবলিশ করা অথবা ফ্রী বি প্রোডাক্ট পাবলিশ করা। বিশেষ করে আপনি যদি অলরেডি কোন প্রোডাক্ট তৈরি করতে পারেন, ধরে নেন আপনি একজন গ্রাফিক ডিজাইনার, আপনি একজন ভিডিও এডিটর, আপনি ফটো এডিটিং পারেন, ফটোশপ দিয়ে কিভাবে ক্লিপিং পাথ এর কাজ করা হয় বা এরকম আরও কাজ আছে যেগুলো করা হয়, ছবি এডিটিং এর বিভিন্ন কাজ আছে, যেগুলো ফটোশপ দিয়ে করা হয় এগুলো আপনি পারেন।
আপনি একজন কম্পিউটার প্রোগ্রামার আপনি কোডিং করতে পারেন এই কাজগুলো জানা থাকলে ডিজিটাল প্রোডাক্ট তৈরি করা যায় যেমন ভিডিও ইফেক্ট, অ্যানিমেশন এগুলো কিন্তু ডিজিটাল প্রোডাক্ট, এগুলোকে প্রিসেট বলা হয়ে থাকে ফটোশপের অনেক প্রিসেট রয়েছে, এডোবি প্রিমিয়ার প্রো এর ও অনেক প্রিসেট রয়েছে। আর যদি আপনি কঠিন জেনে থাকেন কম্পিউটার প্রোগ্রামিং জানেন তাহলে সেই কোডিং করে বিভিন্ন সফটওয়্যার টেম্পলেট তৈরি করতে পারেন।
আপনি যদি ডিজাইনার হন গ্রাফিক ডিজাইন করে বিভিন্ন টেমপ্লেট কিন্তু তৈরি করতে পারবেন যেমন ধরেন; ব্যানার ডিজাইন, পোস্টার ডিজাইন, লোগো ডিজাইন, ফেসবুক কভার ডিজাইন, ইউটিউব চ্যানেল আর্ট ডিজাইন, এ ধরনের বিভিন্ন কিছু রয়েছে যেগুলো কিনা ডিজিটাল প্রোডাক্ট। এই ধরনের প্রোডাক্ট গুলো আপনি ডিজাইন করে বা তৈরি করে আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর দের জন্য ফ্রিতে কিন্তু দিয়ে দিতে পারেন।
ফ্রি জিনিস সকলেই পছন্দ করে, সকলের প্রয়োজন ফ্রী জিনিস দিয়েই সেরে নিতে চায়, তাদের বিভিন্ন প্রোজেক্টের জন্য বা প্রয়োজনের জন্য। আপনি আপনার ওয়েবসাইটে অবশ্যই ফ্রী বি প্রডাক্ট পাবলিশ করার চেষ্টা করবেন যদি আপনি এই ধরনের কোন কাজ পেরে থাকেন যদি কোনো কাজ না উপরে থাকেন তাও সমস্যা নেই চেষ্টা করতে থাকুন তবে যদি পারেন তবে অবশ্যই আপনার ওয়েবসাইটে ফ্রী বি কনটেন্ট পাবলিশ করবেন। তাহলে দেখবেন আপনার ওই ফ্রী বি কনটেন্টগুলো ব্যবহার করার জন্য আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর বারবার আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে থাকবে এবং আপনার ওয়েবসাইটের প্রতি তাদের একটি আস্থা সৃষ্টি হবে এতে করে আপনার কনটেন্ট এর প্রতি তাদের আগ্রহ বাড়তে থাকবে।
এছাড়াও আপনার ফ্রী বি কনটেন্টগুলো তারা বিভিন্ন প্রজেক্টে ব্যবহার করার পাশাপাশি তাদের বন্ধু-বান্ধব বা পরিচিতদের সাথে অনলাইন পেজ, গ্রুপ, বা ফোরামে শেয়ার করবে। যার ফলে আপনার ওয়েবসাইটের জন্য বিভিন্ন উপায়ে হাই কোয়ালিটির ব্যাকলিংক পেয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সুতরাং আপনি এই পদ্ধতিটি আপনার কন্টেন্ট রাইটিং এর জন্য প্রয়োগ করবেন যদি আপনি কিছু তৈরি করতে পারেন সে ক্ষেত্রে সেই তৈরি করা ডিজাইন বা প্রোডাক্টটি আপনার ওয়েব সাইটের ভিজিটরদের ফ্রিতে ব্যবহার করতে দিন।
আপনার পছন্দের ওয়েবসাইটগুলোকে ফলো করুন
পরবর্তী যে কৌশলটি আপনাকে বলব সেটি হচ্ছে আপনার পছন্দের ব্লগ ও ওয়েবসাইট গুলো কে অনুসরণ করুন ফেইসবুক-ইউটিউব ছাড়াও আপনি কিন্তু অনেক ওয়েবসাইট ভিজিট করে থাকেন। আপনার আগ্রহ অনুযায়ী আপনি যে সকল বিষয় পছন্দ করেন সে সকল বিষয়ে দেখবেন আপনি অনেক ওয়েবসাইট ভিজিট করছেন। সেই ওয়েবসাইট গুলোর কনটেন্ট গুলো পড়ুন, দেখুন তারা কিভাবে কনটেন্টগুলো লিখেছে এবং সেটা থেকে একটি ধারণা নিন, নিয়ে আপনি আপনার মত করে কনটেন্ট লিখুন। তাদেরকে তাদেরকে সরাসরি কপি করার কোন প্রয়োজন নেই। আপনি আপনার মত লিখবেন, কিন্তু অন্যান্য লেখক বা ওয়েবসাইট অনুসরণ করে সেখান থেকে একটি আইডিয়া নিয়ে মাত্র। এভাবে আপনি আপনার মত করে নতুন নতুন বিষয়ে কনটেন্ট লিখতে পারেন।
কনটেন্ট রাইটিং শিখতে আপনাকে অবশ্যই অন্যান্য কনটেন্ট রাইটার দের লেখা গুলো পড়তে হবে। তা না হলে আপনি ভালো কন্টাক্ট রাইট করতে পারবেন না। আপনি অন্যান্য রাইটারদের লেখা যত বেশি পড়বেন আপনার রাইটিং স্কিল ততই ডেভলপ হতে থাকবে। তাহলে অন্যের কনটেন্ট বেশি বেশি পড়ুন, বুঝুন এবং সেগুলো কে অনুসরণ করে আপনি আপনার মত করে কনটেন্ট তৈরি করে আপনার ওয়েবসাইটে পাবলিশ করুন। একটা জিনিস মনে রাখবেন আপনার ব্লগে আপনি ভুল করলেও কোন সমস্যা নেই। আপনার ওয়েবসাইট আপনার ভুল সুতরাং আপনি ভুল লিখলে যদি কেউ কিছু বলে কোন সমস্যা নেই, তাতে কিছুই আসে যায়না। আপনি আপনার মত করে লিখে যান একদিন ভুল করবেন দুইদিন ভুল করবেন এভাবে একটা সময় দেখবেন আপনার লেখাগুলো ইম্প্রুভ হতে শুরু করেছে। তখন পুরনো লেখাগুলো একটু আপডেট করলেই ব্যাস হয়ে গেল।
তাই অনেকেই বলেন ”রিডিং ইজ দা কি ফ্যাক্টর টু বিকাম এ প্রো কনটেন্ট রাইটা।“
তাই অবশ্যই আপনি বেশি থেকে বেশি পড়বেন অন্যান্য রাইটারদের কনটেন্ট।
তো পাঠক আমার লেখা শেষের দিকে আপনাকে আরো কিছু কথা বলব আর সেটা হচ্ছে একটা ব্লগ শুরু করার সাথে সাথেই আরনিং শুরু করার চিন্তা করা যাবে না। শুরুতেই আপনি কিভাবে আপনার কনটেন্ট রাইটিং স্কিল ডেভেলপ করতে পারেন সেই বিষয়েই আপনাকে সবচাইতে বেশি মনোযোগ দিতে হবে।