ব্লগিং হল একটি লেখালেখি করার পেশা, আপনার যদি লেখালেখি করতে ভালো লাগে তাহলে আপনি ব্লগিং ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে পারেন। কিন্তু প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ ব্লগিং ইন্ডাস্ট্রিতে ব্যর্থ হয়ে যায় কিছু কমন ভুল করার কারণে। আজকে ঠিক সেরকম ৮ টি বিষয় নিয়ে আপনার সাথে আমি কথা বলব, যেগুলো আপনি এড়াতে পারলে আপনার ব্লগিং ক্যারিয়ারে আপনি একটা ভালো ডেভেলপমেন্ট দেখতে পারবেন। তাহলে চলুন শুরু করি…
সুচিপত্র
- 1 ভুল নাম্বার ১# ব্লগিং শুরু করার প্রথম থেকেই আর করার চিন্তা করা
- 2 ভুল নাম্বার ২# একাধিক অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে আবেদন করা
- 3 ভুল নাম্বার ৩# কনেন্ট ছাড়া অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে আবেদন করা
- 4 ভুল নাম্বার ৪# অ্যাফিলিয়েট লিংক যেখানে সেখানে কপি পেষ্ট করা
- 5 ভুল নাম্বার ৫# এফিলিয়েট মার্কেট প্লেসের লিংক নিয়ে সারসরি পেইডপ্রমোশন করা
- 6 ভুল নাম্বার ৬# ভিজিটর দের ডাটা এনালাইসিস না করা
- 7 ভুল নাম্বার ৭# কন্টেন্টের মধ্যে প্রচুর পরিমানে বিজ্ঞাপন ব্যাবহার করা
- 8 ভুল নাম্বার ৮# ইউজার ফিডব্যাক থেকে না শেখা
ভুল নাম্বার ১# ব্লগিং শুরু করার প্রথম থেকেই আর করার চিন্তা করা
দেখুন আমরা যদি একটি ভালো জব নিতে চাই তাহলে আমাদেরকে ১৫ থেকে ২০ বছর পড়াশোনা করতে হয়, তার পর আমরা ভাল একটি জবের আশা করতে পারি। ঠিক ব্লগিং ও একই ধরনের, এখানে আপনি ব্লগিং শুরু করার প্রথম দিন থেকেই আয় বা রেভিনিউ জেনারেট করতে পারবেন না।আপনার নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কন্টিনিউয়াসলি আপনার টপিকের উপর আর্টিকেল পাবলিশ করে যেতে হবে। একটা সময় ব্লগ থেকে অবশ্যই রেভিনিউ জেনারেট হবে। আপনি যতগুলো ওয়েবসাইট ভিজিট করে থাকেন না কেন একটু লক্ষ করলে দেখবেন আশে পাশে গুগল এ্যডসেন্স এর বিজ্ঞাপন সহ বিভিন্ন কোম্পানির বিজ্ঞাপন প্রদর্শিত হয়।
সেখান থেকে মূলত ওয়েবসাইট মালিকদের রেভিনিউ জেনারেট হয়। তারা সেগুলো একদিনে ডেভলপ করেনি প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের কন্টেন্ট পাবলিশ করতে করতে তাদের ওয়েবসাইটে একটি সময় ভিজিটর আসতে শুরু করেছে এবং এ থেকে একটা সময় তারা রেভিনিউ জেনারেটর করতে শুরু করেছে। সুতরাং আপনার ব্লগেও আপনি আর্টিকেল পাবলিশ করে যাবেন এবং অবশ্যই আপনাকে ধৈর্য রাখতে হবে।
গুগল এ্যডসেন্স সম্পর্কে বিস্তরিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
ভুল নাম্বার ২# একাধিক অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে আবেদন করা
অতিরিক্ত এফিলিয়েট প্রোগ্রামে জয়েন করবেন না। আপনার ব্লগ যে বিষয়ের উপর শুধুমাত্র সেই বিষয়ে রিলেটেড ভালো ভালো দু একটি মার্কেটপ্লেসে এ জয়েন করুন। আপনি আপনার একই ওয়েবসাইট দিয়ে একাধিক কোম্পানির এফিলিয়েট প্রোগ্রাম এ জয়েন করতে পারবেন তাতে কোন সমস্যা নেই। সবচেয়ে বড় বড় কোম্পানি গুলো হচ্ছে আলীএক্সপ্রেস, আমাজন, থিমফরেস্ট, এগুলো এছাড়াও আরো লক্ষ লক্ষ কোম্পানি আছে যারাও এফিলিয়েট পার্টনার নিয়ে থাকে। আপনার ব্লগে রিলেটেড সর্বোচ্চ একটা দুইটা বা তিনটা এফিলিয়েট প্রোগ্রামে আপনি জয়েন করবেন।
অতিরিক্ত অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে জয়েন না করে থেকে ভাল মানের একটা দুইটা মার্কেটপ্লেসে এ জয়েন করলে সেগুলো থেকেই আপনি ভাল রেভিনিউ জেনারেট করতে পারবেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে বিস্তরিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
ভুল নাম্বার ৩# কনেন্ট ছাড়া অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে আবেদন করা
পরবর্তি ভুলটি হল কন্টেন্ট ছাড়াইৎ এফিলিয়েট প্রোগ্রাম এর জন্য আবেদন করা। অনেকেই কোন কন্টেন্ট ছাড়াই এফিলিয়েট প্রোগ্রাম এর জন্য এপ্লাই করে, যার ফলে তারা রিজেক্টেড হয়ে যায়। কোন কোম্পানি সাধারন্ত তাদের এফিলিয়েট পার্টনার নেয়ার পূর্বে দেখতে চায় যে আপনার ওয়েবসাইটে আপনি কি ধরনের কন্টেন্ট বা আরর্টিক্যাল পাবলিশ করছেন। অথবা আপনার ইউটিউব চ্যানেল থাকলে সেখানে আপনি কোন বিষয়ে ভিডিও পাবলিশ করছেন। সেগুলো রিভিউ করার পরেই তারা একাউন্ট অ্যাপ্রুভ করে দেয়। তাই এফিলিয়েট প্রোগ্রামে জয়েন করার পূর্বে আপনি আপনার ওয়েবসাইটে কন্টেন্ট বা আরর্টিক্যাল পাবলিশ করে নিবেন। সুনির্দিষ্ট কোন এমাউন্ট নেই যে কত গুলো আরর্টিক্যাল পাবলিশ করেই আপনি আবেদন করবেন।
আবাও বলছি ব্লগিং হচ্ছে একটি লেখালেখির প্রফেশন আপনাকে প্রতিনিয়ত লিখতে হবে যদি এফিলিয়েট একাউন্ট এপ্রুভ করাই আপনার উদ্দেশ্য থাকে, যদি গুগল এডসেন্স একাউন্ট এপ্রুভ করাই আপনার উদ্দেশ্য থাকে তাহলে আপনার ব্লগিং ক্যারিয়ারে আপনি ভাল কিছু করতে পারবেন না। এই কোম্পানি গুলো বসে আছে আপনাকে গুগল এ্যডসেন্স এপ্রুভাল দেওয়ার জন্য, এফিলিয়েট পার্টনারশিপ দেওয়ার জন্য। আপনাকে শুধু ভাল মানের কন্টেন্ট আপনার ওয়েবসাইটে পাবলিশ করে যেতে হবে। সুতরাং এটা অবশ্যই মাথায় রাখবেন যে আপনার ওয়েবসাইট হোক বা আপনার ইউটিউব চ্যানেল হোক আপনার প্রধান কাজ হল ভাল কন্টেন্ট বা আরর্টিক্যাল পাবলিশ করা। তার পরে ওগুলো সব সময় আপনার জন্য এভেইলেবল আছে আবেদন করার জন্য। এতে করে আপনার আবেদন এক চান্সেই এপ্রুভ হয়ে যাবে। সুতরাং এই ভুলটি অবশ্যই এড়িয়ে যাবেন।
ভুল নাম্বার ৪# অ্যাফিলিয়েট লিংক যেখানে সেখানে কপি পেষ্ট করা
নতুনরা আরও একটি ভুল করে এফিলিয়েট মার্কেটিং এ এসে আর সেটা হচ্ছে হচ্ছে যেখানে সেখানে লিংক কপি পেস্ট করা। এই ধরুন ইউটিউব ভিডিওর নিচে এসে লিংক পেস্ট করে দেয়া, বিভিন্ন ওয়েবসাইটের কমেন্ট সেকসনে লিংক পেস্ট করে দেয়া, ফেসবুকে বিভিন্ন জায়গায় যেখানে সেখানে এফিলিয়েট লিংক পেস্ট করা। এগুলোকে আসলে এফিলিয়েট মার্কেটিং বলা হয় না, এগুলোকে বলা হয় স্প্যামিং। আর স্প্যামিং করার কারনে অনেকের একাউন্ট সাসপেন্ড হয়ে যায়। আর তাই এই ভুলটি থেকে আপনি অবশ্যই বিরত থাকবেন।
যেখানে সেখানে এফিলিয়েট লিংক কপি পেস্ট করবেন না। এই পদ্ধতিতে এফিলিয়েট ইন্ডাস্ট্রিতে আপনি ভাল কিছু করতে পারবেন না। আপনি আপনার ওয়েবসাইটে আরর্টিক্যাল লিখে সেখানে লিংক দিন, ভিডিও তৈরি করে ভিডিওতে বা ভিডিওর ডেসক্রিপশনে লিংক দিন। কিন্তুু কারও ভিডিওর নিচে কমেন্ট সেকশনে এসে, ফেসবুকে যেখানে সেখানে গিয়ে আপনার এফিলিয়েট লিংকগুলো পেষ্ট করবেন না, এতে স্প্যামিং হবে এবং সেই কোম্পানি কোন এক সময় আপনার এফিলিয়েট একাউন্ট সাসপেন্ড করে দিবে।
ভুল নাম্বার ৫# এফিলিয়েট মার্কেট প্লেসের লিংক নিয়ে সারসরি পেইডপ্রমোশন করা
পরবর্তি ভুলটি হল এফিলিয়েট লিংক নিংয়ে সরাসরি পেইড প্রমোশন করা। আমাজন, থিমফরেস্ট আলীএক্সপ্রেস এগুলো অনেক বড় বড় কোম্পানি। এ সকল মার্কেট প্লেসের সরাসরি প্রডাক্টের এফিলিয়েট লিংক গুলো আপনি সরাসরি ফেসবুকের মাধ্যমে বুস্ট করে দিলেন, গুগল এ্যডওয়ার্ড এর মাধ্যমে বুস্ট করে দিলেন, এতে করে আপনার একাউন্টটি সাসপেন্ড হয়ে যাবে। আপনি আপনার ওয়েবসাইটে আরর্টিক্যাল লিখে সেখানে লিংক দিন এবং সেই লিংক বুস্ট করে দিন, এতে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু সরাসরি থিমফরেস্ট এর লিংক, আমাজনের লিংক বুস্ট করলে আপনার একাউন্টটি সাসপেন্ড হয়ে যাবে। এ কোম্পানি গুলো এটা অনুমোদন দেয়না সুতরাং এফিলিয়েট মার্কেটপ্লেসের লিংক সরাসরি পেইড প্রমোশন করা থেকে বিরত থাকবেন।
ভুল নাম্বার ৬# ভিজিটর দের ডাটা এনালাইসিস না করা
পরবর্তি সাধারণ একটি ভুল হচ্ছে ওয়েবসাইটের ভিজিটর দের ডাটা এনালাইসিস না করা। এই ধরুন ভিজিটর দের বয়স কত, কত সংক্ষক ছেলে বা কত সংক্ষক মেয়ে ভিজিটর কোন কোন দেশ থেকে ভিজিট করছে এগুলো আপনাকে এনালাইসিস করতে হবে। যেন এই তথ্যের উপর ভিত্তিকরে আপনি পরবর্তি কন্টেন্ট প্লানিং করতে পারেন।
ওয়েবসাইটের ভিজিটর দের ডাটা বা তথ্য এনালাইসিস করার সবচাইতে ভাল টুল হচ্ছে গুগল এনালাইটিক্স। গুগল এনালাইটিক্স হল গুগলের একটি ফ্রি ভিজিটর দের তথ্য এনালাইসিস করার টুল যেটা আপনার ওয়েব সাইটের সাথে সংযুক্ত করলেই আপনার ওয়েবসাইটে কোন ধরনের ভিজিটর প্রবেশ করছে, কোন লোকেশন থেকে, তাদের বয়স কত, তারা কোন ধরনের ডিভাইস ব্যাবহার করছে, কোন প্লাটফর্ম ব্যাবহার করছে মোবাইল, না ল্যাপটপ নাকি ডেস্কটপ, ছেলেদের পরিমান কত, মেয়েদের পরিমান কত এ সমস্ত ডাটা গুলো আপনি আপনার এনালাইসিস একাউন্টের মাধ্যমে দেখতে পারবেন। এবং এই ধরনের তথ্য গুলো একটু মোনযোগ দিয়ে এনালাইসিস করলে আপনি পারবর্তিতে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন যে পরবর্তি কন্টেন্ট গুলো কোন বিষয়ের উপর দিলে ভাল হবে।
যদি এখন এগুলো না বোঝেন তাহলেও কোন চিন্তার কোন কারন নেই। আপনার ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বা ভিজিটর আসতে থাকলে ধিরে ধিরে বুধতে পারবেন যে কিভাবে এই এনালাইটিক্স টুলটি সঠিক ভাবে ব্যবহার করতে হয়। তাই অবশ্যই আপনি আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটরদেরকে ভাল ভাবে এনালাইসিস করবেন।
ভুল নাম্বার ৭# কন্টেন্টের মধ্যে প্রচুর পরিমানে বিজ্ঞাপন ব্যাবহার করা
পরবর্তি ভুলটি হচ্ছে কন্টেন্টের মধ্যে প্রচুর পরিমানের বিজ্ঞাপন ব্যাবহার করা। অনেক ওয়েবসাইট আছে আপনি লক্ষ করলে দেখবেন চতুর্দিকে শধু বিজ্ঞাপন আর বিজ্ঞাপন। এক ধরনের লিংকে ক্লিক করলে আর একটি ওপেন হয়ে যায়। এগুলো ভিজিটরদের কাছে খুবই বিরক্তিকর বিষয়, তাই এ ধরনের অতিরিক্ত ব্যানার বা বিজ্ঞাপন ব্যাবহার করা থেকে বিরত থাকবেন। কারন কেওউই বিজ্ঞাপন পছন্দ করেনা, আপনার কথাই চিন্তা করুন বিজ্ঞাপন দেখার জন্য কিন্তুু কোন কন্টেন্ট দেখেন না। বিজ্ঞাপন আমরা সাবাই অপছন্দ করে থাকি কিন্তু বিজ্ঞাপন দেখেতে হয়, আর তাই এর একটি লিমিট থাকা উচিৎ অতিরিক্ত হলে এটা কারও কাছেই ভাল লাগবে না।
তাই আপনার কন্টেন্টের মধ্যেও অতিরিক্ত বিজ্ঞাপন ব্যবহার করবেন না। সাধারন্ত একটি পাতায় গুগল এডসেন্স এর নিয়ম অনুযায়ী আপনি ৩ টি বিজ্ঞাপন দেখাতে পারবেন। ৩ টির বেশিও করা যায় তবে এতে পলিসি ব্রেক হওয়ার ও একাউন্ট ব্যান হওয়ার চান্স বেশি থাকে। আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর আপনার কন্টেন্ট দেখার জন্য আসবে বিজ্ঞাপন দেখার জন্য না, সুতরাং অতিরিক্ত বিজ্ঞাপন ব্যাবহার করা থেকে বিরত থাকুন। কারন আতিরিক্ত অর্থ আয়ের আশায় চতুর্দিকে শধু বিজ্ঞাপন বসিয়ে দিলে আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটরেরা বিরক্ত হবে এবং তারা আর দ্বিতিয় বার আপনার ওয়েবসাইট ভিজিট করবে না।
ভুল নাম্বার ৮# ইউজার ফিডব্যাক থেকে না শেখা
পরবর্তি ভুলটি হচ্ছে ইউজার বা ব্যবহার কারিদের ফিডব্যাক থেকে না শেখা। আপনার ওয়েব সাইটে যখন ভিজিটর আসবে আপনার কন্টেন্টে তখন ইউজারদের কমেন্ট বা মন্তব্য আসতে থাকবে। একেক জন একেক রকম তাদের মন্তব্য দিবে। সে সকল মন্তব্যগুলো থেকে আপনাকে বিভিন্ন কিছু শিখে নিতে হবে, তারা কি বলছে তা মোনযোগ দিয়ে বোঝার চেষ্টা করতে হবে এবং বুঝতে হবে, তারা নতুন কি শিখতে চাচ্ছে কি জানতে চাচ্ছে তা নোট করে রাখতে হবে এবং পরবর্তিতে সে অনুযায়ি কন্টেন্ট তৈরি করে আপনার ওয়েবসাইটে পাবলিশ করতে হবে।
তাই আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটরদের মন্তব্য থেকে তথ্য নিয়ে আরও নতুন নতুন কন্টেন্ট পাবলিশ করবেন এতে আপনার ওয়েবসাইটের সাথে ভিজিটরদের একটি সম্পর্ক তৈরি হবে।
তো এই ছিল ৮ টি সচারচ কৃত ভুল যেগুলো অনেক নবীন অ্যাফিলিয়েট ক্যারিয়ারে শুরুর দিকে করে থাকে। তাই এই আরর্টিক্যালের মাধ্যমে আপনি যেহুতা বিষয়গুলো জেনে গেলেন সেহুতা আপনি খুব সহজেই এই ভুল গুলো থেকে বিরত থাকতে পারবেন, যা কিনা আপনার অ্যাফিলিয়েট ক্যারিয়ারের জন্য অনেক সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
তার পরও আমার লেখার শেষে আপনার সুবিধার্থে আমি ভুল গুলো এক বার রিভিউ করছি:-
- ব্লগিং শুরু করার প্রথম থেকেই আর করার চিন্তা করা। যা কিনা খুবই কমন এবং বড় ভূল।
- একাধিক অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে আবেদন করা। সুতরাং অতিরিক্ত অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে জয়েন করবেন না।
- কনেন্ট ছারা অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে আবেদন করবেন করা। এটা মোটেও না করা কারন এতে আপনার আবেদনের এপ্রুভাল সুযোগ কমবে।
- অ্যাফিলিয়েট লিংক যেখানে সেখানে কপি পেষ্ট করা। যেমন ফেসবুকে, ইউটিউব ভিডিওর নিচে, বিভিন্ন ওয়েবসাইটের কমেন্ট সেকসনে ইত্যাদি। এগুলোকে আসলে এফিলিয়েট মার্কেটিং বলা হয় না, এগুলোকে বলা হয় স্প্যামিং। সুতরাং এগুলো থেকে বিরত থাকতে হবে।
- এফিলিয়েট লিংক নিংয়ে সরাসরি পেইড প্রমোশন করা। এটিও করা যাবে না, যেমন ফেসবুকে বুষ্ট, গুগল এ্যডওয়ার্ড এর মাধ্যমে বুষ্ট ইত্যাদি।
- ভিজিটরদের ডাটা এনালাইসিস না করা। আপনাকে আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর দের তথ্য এনালাইসিস করাতে হবে গুগল এনালাইটিক্স টুলের মাধ্যমে।
- কন্টেন্টের মধ্যে প্রচুর পরিমানে বিজ্ঞাপন ব্যাবহার করা। প্রচুর পরিমানের বিজ্ঞাপন ব্যাবহারে ভিজিটরেরা বিরক্ত হবে এবং দ্বিতিয় বার আর আপনার সাইটে ইচ্ছাকৃত ভাবে আসবে না যা আপনি মোটেও চান না।
- শেষ ভুলটি হল ইউজার ফিডব্যাক থেকে না শেখা। আপনার ওয়েব সাইটের ইউজারদের মন্তব্যগুলো বুঝতে হবে এবং পরবর্তিতে সে অনুযায়ি কন্টেন্ট তৈরি করে সেগুলো পাবলিশ করতে হবে।
তো এই ছিল আপনার জন্য কিছু গুরুত্ব পূর্ণ পরামর্শ আমার পক্ষথেকে। এগুলোকে ফলো করলে আপনার ব্লগিং ক্যারিয়ারে ভাল একটি ডেভেলপমেন্ট দেখতে পাবেন।
এই লেখাটি আপনার কছে কেমন লেগেছে তা কমেন্টের মাধ্যমে আমাকে জানাবেন। লেখাটি ভাল লাগলে সোসাল মিডিয়ায় একটি শেয়ার করুন। আমাদের সোসাল মিডিয়া প্রফাইলে যুক্ত থাকুন এবং নিয়মিত এই সাইট ভিজিট করুন এর সাথে সাথে নতুন নতুন লেখা পড়ে আপনার দক্ষতাকে করুন আরও সমৃদ্ধ।
সম্পূর্ণ লেখাটি মোনযোগ সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।