ব্লগিং এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর ৫ টি সুবিধা

আজকে আমি ৫ টি কারন বলব যে কারনগুলো জানার পর আপনি বুঝতে পারবেন যে ব্লগিং ক্যারিয়ারটি আপনার জীবনে কি পরিমান মূল্য যুক্ত করতে পারে। এটা আপনার শুরু করা উচিত হবে কিনা, শুরু করলে ব্লগিং ক্যারিয়ার আপনার লাইফে কোন ধরনের ও কি পরিমান মূল্য যুক্ত করতে পারে। তাহলে চলুন একটা একটা করে শুরু করি।

ব্লগিং এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ

রয়ালিটি ইনকাম

ব্লগিং এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ক্যারিয়ার শুরু করার অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে রয়ালিটি ইনকাম। যেকোনো কিছু আপনি করেন না কেন আপনার একটি ইনকাম সোর্স দরকার তা না হলে আপনি ওই পেশায় টিকে থাকতে পারবেন না। তো ব্লগিং ও অনুরুপ, আপনার একটি আর্নিং সোর্স থাকতে হবে যাতে আপনি আপনার পরিশ্রম থেকে একটি বেস্ট রেজাল্ট নিতে পারেন। ব্লগিং এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের বড় একটি সুবিধা হচ্ছে এই দুইটা থেকেই রয়েলিটি ইনকাম করা যায়।

রয়েলিটি ইনকাম বলতে বোঝায় আপনি নির্দিষ্ট একটি সময়ে পর্যন্ত কাজ করবেন পরবর্তীতে লংটাইম কাজ বন্ধ রাখলেও আপনার ইনকাম চলতে থাকবে। আর এটাকে রয়ালিটি আর্নিং মডেল বলা হয়ে থাকে। বিশেষ করে যারা লেখকের বই লেখে, তারা রয়েলিটি আর্নিং করে থাকে। এছাড়া যারা ক্রিটিভ পারসন বিভিন্ন প্রোডাক্ট তৈরি করতে পারে তারাও এ ধরনের আর্নিং করে থাকে। সচরাচর আমরা আমাদের আশেপাশে এ ধরনের মানুষগুলোকে দেখে থাকি না যারা রয়েলিটি আর্নিং করে থাকে। যার জন্যই আমাদের অনেকের মধ্যেই এই বিষয়ে ধারণাটি খুবই কম।

ব্লগিং এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের এটা একটা বড় সুবিধা যে আপনিও ব্লগিং এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার মাধ্যমে একটি রয়ালিটি আর্নিং মডেল তৈরি করতে পারবেন। একজন লেখক যখন একটি বই লিখে সেই বই যতবার বিক্রি হয় ঠিক ততোবারই লেখক নির্দিষ্ট একটি আর্নিং করে থাকেন। আল্লাহ না করুক যদি সে মারাও যায় তবু তার ইনকাম থেমে থাকে না। সে মারা যাওয়ার পরেও তার বইগুলো বিক্রি হতে থাকে এবং সেখান থেকে তার পরিবার একটি রয়েলিটি আর্নিং পেতে থাকে। এই ধরনের আর্নিং গুলোকে রয়েলিটি আর্নিং বলা হয় আমি জাস্ট একটা উদাহরণ দিলাম লেখকদের দিয়ে।

ব্লগিং ও লেখালেখির কাজ এখানে আপনি বিভিন্ন বিষয়ের উপরে লেখালেখি করবেন। বই হচ্ছে একটি আল্টিমেট প্রোডাক্ট, জেটা সচড়াচর সবাই লিখতে পারে না। কিন্তু ব্লগিং যে কারো পক্ষেই করা সম্ভব। আপনার জাস্ট একটা ওযেবসাইট এর প্রয়োজন। একটা ওয়েবসাইট সেটআপ করে নিয়ে আপনার যে সকল বিষয়ে ধারনা আছে, আগ্রহ আছে, সেই বিষয়গুলোর যে কোন একটি বিষয় নিয়ে আপনি লেখালেখি শুরু করে দিতে পারেন।

এবং আপনার লেখা পাবলিকলি পাবলিশ করার জন্য কারো অনুমতি নিতে হচ্ছেনা, কারো জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে না। আপনার ওয়েবসাইটে আপনি লেখালেখি করে যখন খুশি তখনই পাবলিশ করে দিতে পারছেন। এখন টেকনোলজি এসকল বিষয় গুলোকে অনেক সহজ করে দিয়েছে। যেমন ধরেন ফেসবুক আমরা বিভিন্ন সময়ে স্ট্যাটাস দেই ওখানে চাইলেও কিন্তু আমরা অনেক বিষয়ে লিখতে পারি, কিন্তু ফেসবুকের স্ট্যাটাসবারে আপনি যত কিছু লেখেন না কেন যত ভালোই লেখেন না কেন সেখান থেকে আপনার কোন ক্যারিয়ার অপরচুনিটি তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

হ্যাঁ আমরা ন্যাচারালি স্ট্যাটাস দিয়ে থাকি আমাদের আপডেটগুলো জানিয়ে থাকি কিন্তু এই কনটেন্ট রাইটিং বা লেখালেখি বিষয়টাকে আপনি আপনার প্রফেশন হিসেবে নিতে পারেন এটা খুবই স্মার্ট এবং হ্যান্ডসাম একটা ক্যারিয়ার অপরচুনিটি। আপনার নিজের একটি ওয়েবসাইট লাগবে যেখানে আপনার পছন্দের যেকোন বিষয় নিয়ে আপনি লেখালেখি করতে পারবেন এবং রয়েলিটি আর্নিং ডেভেলপমেন্ট পারবেন।

একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত আপনি কাজ করবেন এবং তারপর অনেক লম্বা সময় কাজ না করলেও আপনার একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ আর্নিং আসতে থাকবে, আর এটাই হচ্ছে ব্লগিং ক্যারিয়ার শুরু করার জন্য সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ কারণ। ( যেভাবে আমি গত ৫ বছর যাবত আয় করে যাচ্ছি। )

কম ইনভেষ্টমেন্টে বিজনেস

ব্লগিং ক্যারিয়ার শুরু করার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হচ্ছে লো-ইনভেষ্টমেন্ট বিজনেস। অনেকেই বিজনেসের কথা শুনলেই একটু ঘাবড়ে যায়, যে বিজনেস আমার পক্ষে করা সম্ভব না, আমার কাছে এত টাকা নাই, আমার কাছে ইনভেস্ট করার মত অবস্থা নাই। ভয় করার কোন কারণ নেই কারণ এফিলিয়েট মার্কেটিং বা ব্লগিং শুরু করার জন্য আপনার খুব বড় অংকের ইনভেস্টমেন্ট এর প্রয়োজন নেই। একটা ওয়েবসাইট খুব সহজেই আপনি সেটআপ করে ফেলতে পারেন আপনার নিজের প্রচেষ্টায়। আপনার যদি শেখার মানসিকতা থাকে তাহলে আপনি নিজেই করে নিতে পারেন আর যদি সময় না থাকে বা এ বিষয়ে খুব বেশি সময় না দিতে চান তাহলে কোন ওয়েব ডেভলপার বা ডিজাইনারকে দিয়ে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতে পারেন।

ওয়েবসাইট তৈরি করা এবং মেইনটেনেন্স করার পৃথিবীতে সবচাইতে জনপ্রিয় একটি সফটওয়্যার হচ্ছে ওয়ার্ডপ্রেস। আমরা আমাদের অ্যান্ড্রয়েড ফোন গুলো ব্যবহার করে থাকি যেটা অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম, যেটা সচরাচর আমরা আমাদের স্মার্টফোনগুলোতে ব্যবহার করছি, ঠিক আমরা আমাদের কম্পিউটার ব্যবহার করছি উইন্ডোজ পিসি, উইন্ডোজের বিভিন্ন অপশন গুলো ব্যবহার করি মাই ফোল্ডার, নিউ ফোল্ডার, বিভিন্ন ফাইল সেভ করে রাখার জন্য। ওটা হচ্ছে উইন্ডোজের অপারেটিং সিস্টেম যা ল্যাপটপ অপারেট করার জন্য বা কম্পিউটার অপারেট করার জন্য। আর ওয়েবসাইট অপারেট করার জন্য এরকম সফটওয়্যার রয়েছে এই সফটওয়্যার গুলির মধ্যে সবচাইতে জনপ্রিয় হচ্ছে ওয়ার্ডপ্রেস।

ওয়ার্ডপ্রেসের জনপ্রিয়তার একটা প্রধান কারণ হচ্ছে এটা যে কেউ চাইলে একটু চেষ্টা করলেই খুব সহজেই এটা ব্যবহার করা শিখে ফেলতে পারে। কোন প্রকার কোডিং কোডিং করার দক্ষতা ছাড়াই একজন মানুষ ওয়ার্ডপ্রেস সফটওয়্যার এর মাধ্যমে একটি ওয়েবসাইট নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। কোন ওয়েব ডিজাইনার বা কোন ওয়েব ডেভেলপারের সহযোগিতার তার কোন প্রয়োজন নেই। যার জন্য এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলছে এবং সমগ্র অনলাইনে যতগুলো ওয়েবসাইট চলছে তার বেশিরভাগই এই জনপ্রিয় ওয়ার্ডপ্রেস সফটওয়্যার দিয়েই তৈরি হচ্ছে এবং চলছে। অনেক বড় বড় কোম্পানি তাদের কোম্পানির ব্যবসায়িক প্রয়োজনে ওয়েবসাইট তৈরি করছে এই ওয়ার্ডপ্রেস সফটওয়্যারটি ব্যবহারের মাধ্যমে।

তো আপনি আপনার ব্লগিং এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে ক্যারিয়ার শুরু করার জন্য ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে ফেলতে পারেন। এবং সেই ওয়েবসাইটে আপনার যে বিষয়ে ভালো লাগে সেই বিষয়ে লেখালেখি করা শুরু করে দিতে পারেন। একটা ওয়েবসাইট দাঁড় করাতে বেশি টাকার প্রয়োজন হয় না, বিশেষ করে ব্লগিং করার জন্য আপনি এভারেজ ১০,০০০ টাকার মধ্যে একটি ওয়েবসাইট সেটআপ করে ফেলতে পারেন। এছাড়াও আপনি চাইলে ৫০০০ টাকার মধ্যে আপনার নিজস্ব ডোমেইন হোস্টিং সহকারে একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ সাইট তৈরি করে ফেলতে পারেন।

শুরুর দিকে অনেক পাওয়ারফুল সার্ভার নিয়ে আপনার ওয়েবসাইট শুরু করতে হবে এমন কোনো বিষয় নেই। সুতরাং যারা একেবারেই নতুন তাদের ক্ষেত্রে যদি শেখার প্রয়োজন হয় কিভাবে একটি ওয়েবসাইট সেটআপ করতে হয়, কিভাবে ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করতে হয়, সেটার ব্যবহার করার বিষয় গুলো গুলো শিখতেই আপনার দেখা যাচ্ছে এক মাস বা দুই মাস সময় লেগে যেতে পারে। তার জন্যই শুরুর দিকে আপনি একটি ওয়েবসাইট লঞ্চ করে সেখানে ব্লগিং ক্যারিয়ার শুরু করে দিতে পারেন। মোটকথা সবমিলিয়ে আপনি ৫০০০ থেকে ১০,০০০ টাকার মধ্যে একটি ব্লগ সাইট তৈরি করে, সেখানে আপনার ব্লগিং ক্যারিয়ার শুরু করে দিতে পারেন।

আর এ কম ইনভেষ্টমেন্টে-ই হল একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কারণ ব্লগিং শুরু করার জন্য। আপনি অন্যান্য যেকোন বিজনেস শুরু করতে চান সেখানে আপনার বড় ধরনের ইনভেস্টমেন্ট এর প্রয়োজন হতে পারে, কিন্তু ব্লগিং ক্যারিয়ারে আপনার এত বড় ধরনের ইনভেস্টমেন্টের প্রয়োজন নেই।

স্বাধীনভাবে কাজের সুযোগ

চলুন আপনাকে ব্লগিং শুরু করা আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ বলে দেই। আর সেটা হল ফ্রিডম ওয়ার্কিং এনভায়রনমেন্ট। এর মানে হচ্ছে আপনি সম্পূর্ণ ফ্রি আপনার যখন খুশি তখন আপনি কাজ করলেন, যখন ভালো লাগে না তখন কাজ করলেন না। আপনি যদি একটি জব করেন তাহলে সেখানে আপনাকে প্রায় প্রতিদিনই নির্দিষ্ট একটি সময়ে কাজ করতে হবে। কিন্তু ব্লগিং ক্যারিয়ারে আপনার যখন খুশি তখন আপনি কাজ করলেন। এমনকি আপনার জব এর কাজের পাশাপাশি বাকি যে সময় গুলো থাকে সেই সময় গুলো কে কাজে লাগিয়ে আপনি কনটেন্ট রাইটিং শুরু করে দিতে পারেন।

বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আপনি লেখালেখি করতে পারেন এবং এই লেখালিখি থেকে কিভাবে ইনকাম সোর্স জেনারেট করা যায় সেটা নিয়ে আমাদের অর্থ উপার্জন সেকসনের লেখা গুলো পড়লে আপনি মোটামুটি ভালো একটা ধারণা পেয়ে যাবেন। এছাড়াও পরবর্তীতে আমি আরো লেখা আমার ওয়েবসাইটে প্রচার করব যা থেকে আপনি খুব সহজেই জানতে পারবেন কি কি উপায় ব্লগিংয়ের মাধ্যমে ইনকাম সোর্স জেনারেট করা যায়।

তবে একটি কথা মাথায় রাখবেন আমি কখনোই আপনার জব এর সাথে ব্লগিং বা এফিলিয়েট মার্কেটিং এর তুলনা করতে চাচ্ছি না। আপনার যদি কোন জব থাকে তাহলে আপনি সেই জব করতে থাকুন তাতে কোন সমস্যা নেই, কিন্তু তার পাশাপাশি আপনি চাইলে অল্প সময়কে কাজে লাগিয়ে খুব সহজেই এই ব্লগিং ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন। যখন আপনার ব্লগিং ক্যারিয়ারে ভালো একটি ইনকাম সোর্স জেনারেট হবে তখন আপনি চাইলে আপনার জব বাদ দিয়ে দিতে পারেন। এতে তখন আপনার কোন সমস্যা থাকবে না। আমি শুধু বোঝাতে চাচ্ছি ব্লগিং পেশা হচ্ছে একটি স্বাধীন পেশা যেখানে আপনার ইচ্ছামত আপনি যতোটুকু কাজ করবেন ঠিক ততটুকু বেনিফিটেড হবেন।

আপনি প্রতিদিন ৫ ঘন্টা কাজ করলে সেই ৫ ঘন্টা অনুযায়ী একটি ফলাফল আসবে, আবার আপনি যদি ২ ঘন্টা কাজ করেন প্রতিদিন সে ক্ষেত্রে দুই ঘন্টা অনুযায়ী একটি ফলাফল আসবে। যেহেতু ওয়েবসাইট বা ব্যবসাটি আপনার নিজের সেহেতু, এখানে আপনার সম্পূর্ণ স্বাধীনতা আছে, যখন খুশি তখন কাজ করার। সময়ের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই যে, আপনাকে প্রতিদিন এত ঘন্টা কাজ করতে হবে, সপ্তাহে এত ঘন্টা কাজ করতে হবে, বা মাসে এত ঘন্টা কাজ করতে হবে। আপনি সম্পূর্ণ ফ্রি! সময় স্বাধীনতা ব্লগিং বা এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার অন্যতম একটি কারণ। যার জন্য পুরো পৃথিবীতে লক্ষ লক্ষ মানুষ এই ব্লগিং এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ব্যবসায় সফলতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে।

ইংলিশ ইম্প্রুভমেন্ট

ব্লগিং ক্যারিয়ার শুরু করার আরেকটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কারণ হচ্ছে ইংলিশ ইমপ্রুভমেন্ট। আমাদের দেশে প্রায় ছেলেমেয়েরাই ইংরেজিতে অনেক দুর্বল। অনেক ছাত্র, জব হোল্ডার এবং বিজনেস হোল্ডারগণ চান তাদের ইংরেজি দক্ষতা কে বাড়াতে। তবে যেকোনো কারণেই হোক এটা সকলের ক্ষেত্রেই হয়ে ওঠে না। তবে ব্লগিং হচ্ছে ইংরেজি ইম্প্রুভমেন্ট করার অন্যতম একটি উপায়।

অনলাইনে চ্যাটিং করার মাধ্যমেই ম্যাসেজিং করার মাধ্যমে আমরা অনেক সময় নষ্ট করে থাকি। অথচ এই যে আমরা ম্যাসেজিং চ্যাটিং করি এটাও কিন্তু একটি কনটেন্ট। আপনি এক লাইন লিখেন লিখেন আর পাঁচ লাইন লিখেন এটাও কিন্তু একটি লেখা বা কনটেন্ট। হয়তোবা আপনি অন্য কোন বিষয় নিয়ে বা পার্সোনাল কোন বিষয় নিয়ে লিখছেন। যদি আপনি এই লেখালেখি গুলোকেই একটু প্রফেশনালি আপনার ওয়েবসাইটে লিখে প্রচার করতে পারেন তাহলে আপনার একটি দারুন ক্যারিয়ার অপরচুনিটি বা সুযোগ সৃষ্টি হবে, সেটা আবার রয়েলিটি ক্যারিয়ার। তো ইংরেজি ইম্প্রুভমেন্ট এর অনেক বড় একটি সুযোগ থাকে এই ব্লগিং ক্যারিয়ারে।

আপনি যখন আপনার ওয়েবসাইটে ইংরেজিতে বিভিন্ন বিষয়ের উপরে লেখালেখি শুরু করবেন তখন আস্তে আস্তে আপনার ইংরেজির উপর দক্ষতা চলে আসবে। সহজে ইংরেজি শেখার সবগুলো গুরুত্বপূর্ণ উপায়ের মধ্যে একটি হচ্ছে বাস্তব ক্ষেত্রে প্র্যাকটিস করা। আমাদের আশেপাশে অনেকেই আছেন যারা ইংরেজি জানেন কিন্তু তারা অন্যকে শেখাতে বেশি আগ্রহী না হওয়ার কারণে, অনেকেই ইংরেজি শিখতে পারেন না। আর নিজে নিজে চেষ্টা করে ইংরেজি শেখার চিন্তা করে ইংরেজি শেখাও আমাদের সমাজে অনেকেরই হয়ে ওঠে না। এই আজ শিখি কাল শিখি এভাবে করে সময় চলে যায়। কোন বন্ধু-বান্ধব বা কাউকে সব সময় পাওয়া যায় না যার সাথে কথোপকথন করে ইংরেজি দক্ষতা কে বাড়ানো যেতে পারে।

এক্ষেত্রে আপনি আপনার ব্লগিং ওয়েবসাইটে নিজেই নিজের সাথে প্র্যাকটিস করতে পারেন সেখানে বিভিন্ন বিষয়ের উপরে আপনি লেখালেখি করতে পারেন যেহেতু সেটা আপনার ওয়েবসাইট সেহুতু এখানে এসে কেউ আপনাকে বধা দিচ্ছে না, বা জাজমেন্ট করছে না যে, কেন ভুল লেখলে? আপনার ওয়েবসাইটে আপনি সঠিক লিখলেও আপনার, ভুল লিখলে ও আপনার। সুতরাং ভুল করলে যে একটা টেনশন, এখানে সেটা কাজ করে না। এবং যখনই আপনি একাধারে আপনার ওয়েবসাইটে লেখালেখি করতে যাবেন তখন লিখতে লিখতে বাস্তবিক ভাবে আপনার একটি ইংরেজির উপরে ভালো দক্ষতা সৃষ্টি হবে। যেটার মাধ্যমে আপনি আপনার ইংরেজি স্কিল কে ডেভলপ করে ফেলতে পারবেন এবং পরবর্তীতে পূর্ববর্তী ভুল কৃত লেখাগুলোকে আপডেট করার সুযোগও ব্লগিং এ রয়েছে, সুতরাং কোনো চিন্তা নেই।

ইংরেজি তো প্রায় সব জায়গায় প্রয়োজন। আপনি হায়ার এডুকেশন এ যান, সেখানে ইংরেজি প্রয়োজন, আপনি কর্পোরেট জব করতে যান, সেখানে ইংরেজি প্রয়োজন এছাড়া আপনি যদি ব্যবসা করতে চান, সে ক্ষেত্রেও সেখানে আপনার ইংরেজী জানতেই হবে। কেননা সেখানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে বিভিন্ন মানুষের সাথে আপনাকে যোগাযোগ করতে হবে ব্যবসায়িক ডিল করার জন্য। আর তাই ইংরেজি বিষয়ে দক্ষতা থাকা প্রত্যেকটা মানুষেরই জরুরী বিশেষ করে ক্যারিয়ারের জন্য। এজন্যই ব্লগিং শুরু করা হচ্ছে ইংরেজি শেখার অন্যতম কারন গুলোর মধ্যে একটি।

আর আপনি আপনার ব্লগে একটি লেখা পাবলিস্ট করলে পুরো ওয়ার্ল্ড ওয়াইডে সেটা দেখার জন্য লাইভ হয়ে যাচ্ছে। কেউ এসে পড়ুক বা না পড়ুক আপনার লেখাটি পাবলিশ হয়ে গেছে। সেটা লাইভে আছে, আর এভাবেই আপনি যতই কনটেন্ট লেখা পাবলিশ করতে থাকবেন আস্তে আস্তে আপনার ইংরেজি দক্ষতা ততই বৃদ্ধি পেতে থাকবে। এবং এখান থেকে একটা সময় আপনি আর্নিং সোর্স তৈরি করে ফেলতে পারবেন।

তবে এখানে একটি বিষয় বুঝে নেয়ার মত রয়েছে যে, কোন কনটেন্ট বা লেখাগুলো লিখলে আপনার আয়ের সুযোগ তৈরি হবে, আর কোন লেখাগুলো লিখলে আপনার আয়ের সুযোগ তৈরির সম্ভাবনা থাকেবে না। যেমন স্বাভাবিক ভাবে আমরা যখন মেসেজ করি আমাদের বন্ধু বান্ধবের সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করি এটা খারাপ না, তবে দেখা যায় অনেকেই অনেক বেশি পরিমাণে মেসেজিং করে থাকে যেগুলি সম্পূর্ণই আন-প্রডাক্টিভ, যার জন্য এগুলো থেকে কোন ইনকাম তৈরি হয় না।

আপনি, আমি প্রয়োজনে অথবা অপ্রয়োজনে যেকোনো কারণেই হোক প্রত্যেকে কিন্তু কমবেশি ম্যাসেজিং করে থাকি। তবে আমরা যাই করি না কেন আমাদের একটি ক্যারিয়ার অপরচুনিটি থাকা উচিৎ। যেন আপনার একটি অর্থের উৎস থাকে যেখান থেকে আপনি নিজেকে সাপোর্ট করতে পারেন এবং আপনার পরিবারকে সাপোর্ট দিতে পারেন। এই যে লেখালেখি করা মেসেজিং এর মাধ্যমে এটাকেই যদি আপনি আরেকটু প্রফেশনালি আপনার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে করতে পারেন তাহলে আপনি একটি রয়েলিটি আর্নিং-এর সুযোগ সৃষ্টি করতে পারেন। আর তাই ইংলিশ ইম্প্রুভমেন্ট হচ্ছে ব্লগিং শুরু করার অন্যতম একটি কারণ। আপনি ইনকাম করেন আর না করেন, কিন্তু আপনি ব্লগিংয়ের মাধ্যমে আপনার ইংলিশ স্কিল ডেভলপ করে ফেলতে পারেন।

একাধিক আয়ের উৎস

তাহলে চলুন ব্লগিং শুরু করার পড়েন গুরুত্বপূর্ণ কারণটি আপনাকে বলি। কনটেন্ট রাইটিং করে ব্লগিংয়ের মাধ্যমে ক্যারিয়ার অপরচুনিটি তৈরি করা আরেকটি অন্যতম কারণ হচ্ছে মাল্টিপল রেভিনিউ সোর্স জেনারেট করা। এখন আমরা যাই করি না কেন পড়াশোনা করি কারন জব করতে চাই বা বিজনেস করতে চাই। সুতরাং আমাদের লাইফে একটা কারণ থাকে আর অন্যতম কারণ হচ্ছে একটা সময়ে গিয়ে একটা ভালো আয়ের এর উৎস তৈরি করা যেটা আপনাকে বা আপনার ফ্যামিলিকে সাপোর্ট করতে পারে।

তো ব্লগিংয়ের আপনি একটি সলিড ক্যারিয়ার তৈরি করতে পারেন কারণ ব্লগিং করে মাল্টিপল সোর্স থেকে আর্নিং করা যায়। যে বিষয়ে আমি আগেও আলোচনা করেছি। তারপরও আমি আবারো বলছি ব্লগিং করে আপনি গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে আয় করতে পারেন, কন্টেন্ট রাইটিং এর মাধ্যমে আপনার ব্লগে অন্যান্য কোম্পানির প্রোডাক্ট প্রমোশন করে সেল করার মাধ্যমে আয় করতে পারেন যেটাকে এফিলিয়েট সেলস বলা হয়। আপনি আপনার নিজের কোন প্রোডাক্ট আপনার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সেল করে আয় করতে পারেন।

ব্লগিং করতে করতে একসময় যদি আপনি সিদ্ধান্ত নেন যে ওই টপিকে আর ব্লগ করবেন না তাহলে (Flippa) ফ্লিপ্পার মত কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে আপনার ওয়েবসাইটটি সেল করে দিয়ে নতুন টপিকে ব্লগিং শুরু করে দিতে পারেন। এক্ষেত্রে ওয়েবসাইট বিক্রি করে দেয়ার মাধ্যমেও আপনার একটি আয় এসে যাবে। এবং অনেক ভালো দামেই আপনার ওয়েবসাইট সেল করে দিতে পারেন যদি আপনি ভাল মানের কনটেন্ট প্রিভিয়াসলি পাবলিশ করে থাকেন। সুতরাং গুগল এডসেন্স, আফিলিয়েট সেলস, নিজস্ব প্রোডাক্ট বিক্রির পাশাপাশি বিভিন্ন কোম্পানি থেকে স্পন্সরশিপ পাওয়া এই ধরনের কমপক্ষে চার থেকে পাঁচ ধরনের প্যাসিভ ইনকাম জেনারেট করতে পারেন আপনি আপনার ব্লগিং ক্যারিয়ার থেকে।

শুধুমাত্র বাংলাদেশি না সমগ্র পৃথিবীতে বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন টপিক এর উপরে ব্লগিং করে অনেক ভালমানের আয় করছে অনেক ভালমানের ক্যারিয়ার তারা ডেভলপ করছে। যে বিষয়ে আপনি ভাল জানেন সেই বিষয়ে আপনি শুরু করতে পারেন। আর আপনি যদি কোন বিষয় ভাল নাও জানেন তাতেও আসলে কোন সমস্যা নেই, আপনি আপনার ব্লগিং ক্যারিয়ার শুরু করে দিতে পারেন এবং কিভাবে কনটেন্ট রাইটিং করতে হয় এই প্রসেস টি আস্তে আস্তে শিখে নিতে পারলে একসময় কোন একটি টপিকের উপর ভাল মানের কনটেন্ট রাইটিং করতে পারবেন।

ব্লগিংয়ের শুরুতে কিভাবে কনটেন্ট রাইটিং করতে হয় তা অনেকেরই জানা থাকে না, এটাই স্বাভাবিক আর এজন্যই আমি কনটেন্ট রাইটিং এর উপরে এই ওয়েবসাইটে একটি আলাদা লেখা পাবলিশ করব যে লেখাটি পড়লে আপনি সহজেই একটা ধারণা পেয়ে যাবেন যে কিভাবে আসলে কোন টপিক এর উপরে খুব সহজেই কনটেন্ট লিখে ফেলা যায়।

আর যারা ফ্রিল্যান্স এ বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে কাজ করেন, বিভিন্ন ক্লায়েন্টকে গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইনিং এই বিষয়গুলোতে সহযোগিতা করছেন তাদেরকেও বলবো আপনারা আপনাদের ক্লায়েন্টদের জন্য তো কাজ করছে-ই পাশাপাশি আপনারা নিজের একটি বিজনেস শুরু করার চেষ্টা করুন। আর ব্লগিং হচ্ছে সবচাইতে সহজ একটা উপায় আপনার নিজের ব্যবসা শুরু করার বা বাড়তি একটি টাকার উৎস তৈরি করার। আপনি আপনার গ্রাফিক ডিজাইন স্কিল, ওয়েব ডিজাইন স্কিল, আরো যেগুলো আছে, যেগুলো দিয়ে আপনি অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজ করছেন সেই স্কিলগুলোকে কাজে লাগিয়ে আপনি আপনার অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বিজনেস শুরু করে দিতে পারেন।

বেশিরভাগ সময় দেখা যায় আমরা মার্কেটপ্লেসের উপরেই ডিপেন্ডেন্ট থাকি। আর সেখানেও অনেক কম্পিটিশন থাকে। সবার কাছে সব ধরনের ও সমান ক্লায়েন্ট থাকে না, কারো কাছে প্রচুর ক্লায়েন্ট থাকে আবার কেউ কেউ দেখা যায় ক্লায়েন্ট খুঁজে পান না। আমি বলব আপনি যদি ফ্রিল্যান্সার হয়ে থাকেন বিভিন্ন বিষয়ের উপরে ফ্রিল্যান্সিং করে যাচ্ছেন আপনার সেই স্কিলের উপরেও আপনি ব্লগিং করতে পারেন এটা একটা শিখে নেওয়ার বিষয়। আপনি একটি শিখে নিলে আপনি নিজেও এই ব্লগ দিয়ে দারুন একটি ক্যারিয়ার তৈরি করতে পারেন এবং রয়েলিটি প্যাসিভ আর্নিং সোর্স ডেভলপ করতে পারেন।

আরও পড়ুন: অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে ব্লগিং এর ৮ টি বড় ভুল যা থেকে বিরত থাকতে হবে – নবীনদের জন্য গাইড

আজকের মতো এ পর্যন্তই, পরবর্তী লেখাগুলোতে আমি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এবং ব্লগিং নিয়ে আপনার সাথে বিস্তারিত আলোচনা করব এবং এই ওয়েবসাইটে বিভিন্ন বিষয়ে আপনাকে শেখাতে থাকবো সম্পূর্ণ ফ্রিতে। সম্পূর্ণ লেখাটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

আপনার সুবিধার্থে বলছি যদি আপনি এই ব্লগের সাথে যুক্ত থাকতে চান তাহলে এই ব্লগের সোশ্যাল মিডিয়া পেজগুলোকে ফলো করতে পারেন। আবারো ধন্যবাদ দিয়ে আজকের মত বিদায় নিচ্ছি আসসালামুয়ালাইকুম।

স্পনসর কৃত বিজ্ঞাপন:

আমাদের প্রস্তাবিত বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ডোমেন এবং ওয়েব হোস্টিং সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান।

এক্সনহোস্ট (ExonHost) – বাংলাদেশের সেরা ডোমেন এবং ওয়েব হোস্টিংয়ের জন্য।

২৪×৭ সহায়তা ডেস্ক রয়েছে সকল গ্রাহকদের জন্য
BDIX হোস্টিং সহ বিশ্বব্যাপী টি ডাটাসেন্টার
→ সম্ভাব্য সেরা লেটেন্সি এবং দ্রুত লোড টাইমস
এসএসডি শেয়ার্ড ওয়েব হোস্টিং প্যাকেজ
→ ব্যবহারকারী-বান্ধব কন্ট্রোল প্যানেল
→ সহজ এবং সস্তায় ওয়েব হোস্টিং

এখনই সাইন-আপ করুন!